মনির খান বিশেষ প্রতিনিধি।
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার, লোহাগড়া সি এন্ড বি চৌরাস্তার বাজার রোডে অবস্থিত মোর্শেদা ক্লিনিক। ওই ক্লিনিকের কর্তব্যরত নার্স রিমি ( ২২) (নার্সিং কোর্স সম্পন্ন) অদ্য ২৭ জানুয়ারী ২০২৪ তারিখ সকালে ক্লিনিকের ছাদে কাপড় শুকাতে দেয় এবং দুপুর ১ টার দিকে ওই কাপড় আনার জন্য ছাদে যায়। ছাদে গিয়ে দেখতে পায় তার কাপড় উড়ে গিয়ে ৩৩০০০ বোল্টের তারের উপর পড়ে আছে, তখন নার্স রিমি একটি লোহার রড দিয়ে ৩৩০০০ বোল্টের তারের উপর থেকে তার কাপড় টি আনার চেষ্টা করে এবং তখনই বিদ্যুৎ স্পর্শের ঘটনাটি ঘটে।
রুগীকে প্রথমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়, রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় এবং বেশ কিছু দিন মারা যায়। উক্ত দুর্ঘটনা সম্পর্কে বিল্ডিং মালিক লুৎফুন করীম (কচির) সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গতবার বিদ্যুৎ স্পর্শের দুর্ঘটনার পর পর ই আমি বৈদ্যুতিক তারের পাশ দিয়ে ৬ ফিট উচু করে প্রাচীন নির্মাণ করে দিয়েছি,তার পর ও যদি দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে আমি কি করব? এই দূর্ঘটনার জন্য আমি দায়ী না বলে এড়িয়ে যায়।
ক্লিনিক মালিক জাকির হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার ক্লিনিকের নার্স রিমি
কি ভাবে এমন একটা দুর্ঘটনায় পড়ল তা জানিনা।
তবে ঢাকাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়েটি মারা গেছে। সচেতন মহল বলেন, ওই বিল্ডিং এ এইবার দিয়ে ৩ বার বিদ্যুৎ স্পর্শের ঘটনা ঘটেছে, কর্তৃপক্ষ কি করে?
৩৩০০০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক লাইন থাকতে পৌরসভা কি ভাবে ৪ তলা ভবন করার অনুমতি দিলেন?
সর্বোপরি মোরশেদা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের সু নজর কামনা করেন।