কাজী আশরাফ:
নিজের নামে বদনাম ঘোচাতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শতবর্ষ প্রাচীন লক্ষীপাশা আদর্শ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস.এম. মুরাদুজ্জামান। রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৩ টার দিকে বিদ্যালয় চলাকালিন সময়ে প্রধান শিক্ষক তাঁর নিজ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
এসময় আলোচনার মুল বিষয় ছিল শিক্ষক মুরাদের বিরুদ্ধে সেচ্ছাচারীতা, শিক্ষার্থীদের উপর আত্যাচার ও নেশাগ্রস্থ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করার অভিযোগ।
জানা গেছে গত ১ ফেব্রæয়ারী বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীরা উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সেচ্ছাচারীতা ও অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, নতুন কারিকুলামের বাইরে ভিত্তিহীন নিয়ম বুঝিয়ে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করে আসছেন। ছেলে মেয়েদের চুল ধরে টানেন এবং যে কক্ষে তিনি যান সেই কক্ষের সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে রাখেন। বিষয় ভিত্তিক এম.এ পাশ শিক্ষকদের ক্লাস না করতে দিয়ে এইচ.এস.সি পাশ ল্যাব সহকারীসহ অন্যান্য ভোকেশনাল ফুড ইনেসট্রাক্টর ও ট্রেড ইনেসট্রাক্টর লাইব্রেরীয়ান ও অন্যান্যদের দিয়ে গুরুত্ব বিষয়ে ক্লাস নিতে পাঠান।
এছাড়া নির্ধারিত শিক্ষকদের নিকট প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করা হয়। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এইচ.এস.সি-২০২৪ ব্যাচের ২’শ জন শিক্ষার্থীদেরকে ১০-১২দিন ক্লাস করিয়ে জন প্রতি ২ হাজার টাকা করে আদায় করা হয়। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের মোট ১ হাজার ৩’শ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫’শত টাকা করে মোট ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বার্ষিক ও নির্বাচনী পরীক্ষার ফি আদায় করা হয়। অভিযোগ পত্রে লেখা হয়েছে প্রধান শিক্ষকের এ ধরনের অপকর্মে শহিদুল ইসলাম, মুজাহিদুল ও অফিস সহায়ক জাকির সহায়তা করে থাকেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান শিক্ষক তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে নিজের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সভাপতিসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও স্থানীয় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
এ বিষয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া বলেন, প্রধান শিক্ষক এস.এম মুরাদ্জ্জুামানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিওয়া হবে।