বিশেষ প্রতিনিধিঃ খন্দকার ছদরুজ্জামান
নড়াইলে কিশোরী অপহরণের দায়ে মামুন শেখ (২২) নামে এক যুবককে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ মে) বিকেলে নড়াইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের জেলা ও দায়রা জজ সানা মো. মাহ্রুফ হোসাইন এ রায় দেন। মামুন শেখ নড়াইল সদর থানার পেড়লি গ্রামের ফেরদৌস শেখের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার পেড়লি গ্রামের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে আসামি মামুন প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন। ওই মেয়ের পরিবারের লোকজন মামুনের পরিবারের কাছে বিচার দিয়েও কোনো কাজ হয়নি।
এরপর ওই মেয়েকে তার বাবা সময় কংকন বৈরাগী নামে একজনের সঙ্গে বিয়ে দেন। কিন্তু মামুনের হাত থেকে মেয়েটি রেহায় পায়নি।
উপায়ান্ত না পেয়ে মেয়েটিকে তার মামার বাড়ি সদর উপজেলার রতডাঙ্গা গ্রামে রেখে আসেন তার বাবা। ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে পোশাক বানানোর কথা বলে বাইরে এলে মামুন মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তাকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করেন। মামলায় ওই মেয়েটির জবানবন্দি থেকে জানা যায়, নিজেকে তিনি সাবালিকা মনে করেন। নাম বদলান এবং ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর ইসলাম ধর্ম অনুসারে মামুনকে বিয়ে করেন।
আদালত এ মামলায় ১০ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। আসামি মামুন মেয়েটিকে ফুসলিয়ে অপহরণ করেছে বলে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বুধবার (২৫ মে) বিচারক তাকে এ রায় দেন।