মনির খান বিশেষ প্রতিনিধি। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা আদর্শ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম মুরাদুজ্জামান ও অফিস সহায়ক জাকির হোসেনের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছাত্র ছাত্রীদের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ পত্র বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ প্রসঙ্গে ও বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ঘটনাটি প্রকাশ পাওয়ায়, প্রধান শিক্ষকের মতবিনিময়। ছাত্র ছাত্রীদের অভিযোগ ও সাংবাদিকদের খবর প্রকাশের বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষকের মতবিনিময় সভায় বক্তব্য? নতুন কারিকুলামে যে বিষয়গুলি নেই, এই সমস্ত বিষয়গুলিসহ ভিত্তিহীন নিয়ম বুঝিয়ে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসছে।
উত্তরে তিনি বলেন, ১০ ম শ্রেণীর শুধু মাত্র একটি ইংরেজি ক্লাস আমি নিই, কিন্তু নতুন কারিকুলামে আমার কোন ক্লাস নেই, কাজে ই বাহিরের বিষয় ছাত্র ছাত্রীদের চাপিয়ে দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। নেশাগ্রস্ত থাকেন চোখ মুখের আকৃতি অস্বাভাবিক থাকে, এ বিষয়ে তিনি বলেন আমি কখনো নেশাদ্রব্য গ্রহণ করিনা এবং পূর্বে ও করিনাই। শ্রেণীকক্ষের সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে শ্রেণীকক্ষে তিনি যান, উত্তরে তিনি বলেন,বিদ্যালয়ের সিসি ক্যামেরা এক সুইজে চালু ও বন্ধ হয়, রুটিং মোতাবেক ক্লাস তদারকির জন্য ওই ক্লাসের শিক্ষকের উপস্থিতিতে ক্লাসে যায়।
বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকদের ক্লাস না দিয়ে এইচএসসি পাশ শিক্ষক কে দিয়ে ক্লাস নেন? উত্তরে তিনি বলেন, দক্ষ শিক্ষকদের ক্লাস দিয়ে,নতুন কারিকুলামের লক্ষ্যে পারদর্শিতার ভিত্তিতে বাকি ক্লাস সমন্বয় করা হয়েছে। অভিযোগে উল্লেখ থাকে যে, প্রাইভেট পড়লে ও টাকা দিতে হবে, না পড়লে ও টাকা দিতে হবে, নির্দিষ্ট কতিপয় শিক্ষকদের কাছে পড়তে বাধ্য করেন, উত্তরে তিনি বলেন, প্রাইভেট পড়া না পড়া ওই ছাত্রছাত্রীদের ব্যাপার, আমরা ক্লাসের পড়া ক্লাসে আদায় করার চেষ্টা করি।
কোচিং ফি ব্যবদ ২০০০ টাকা নেওয়া হয়েছে, ক্লাস হয়েছে মাত্র ১০/১২ দিন,শিক্ষার্থী ২০০ শত জন। উত্তরে তিনি বলেন, এসএসসি ২০২৪ এর শিক্ষার্থীদের আর্থিক দিক বিবেচনা করে ৩ মাসের ফিস ২০০০ টাকা নেওয়া হয়েছে। ৬৫ জন গরিব শিক্ষার্থী কোন প্রকার ফি প্রদান করেন না। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩০০ শত জন, শিক্ষার্থীদের জন প্রতি ৫০০ শত টাকা করে নিয়ে মোট টাকা ৬,৫০,০০০ টাকা। ব্যয় হয়েছে ৪১,০০০ টাকা।
উত্তরে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০৭৫ জন, শুধু মাত্র ষ্টেশনারী দ্রব্য সামগ্রী কেনা ছাড়াও প্রশ্নপত্র ছাপাতে প্রিন্টার ও কালি ব্যবহার ও হয়। প্রধান শিক্ষকের পছন্দমত নির্দিষ্ট কোম্পানির বই কিনতে হয়, নামের বানান ভুল করে মোটা অংকের টাকা দাবি করা হয়, উত্তরে তিনি বলেন, ভুল হতে ই পারে, তবে কাউকে জিম্মি করে টাকা নেওয়া হয় না। কিভাবে ঠিক করতে হবে পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রধান শিক্ষক সহ ৪ জন শিক্ষকের নির্দেশনায় বিদ্যালয়টি পরিচালিত হয়। উত্তরে তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষক হতে হলে বহু অভিজ্ঞতার মাধ্যমে পদটি অর্জন করতে হয়, সুতরাং প্রধান শিক্ষক কোন শিক্ষকের নির্দেশনায় চলবে এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ছাত্র-ছাত্রীরা দেখতে পায়, প্রধান শিক্ষক অফিস কক্ষের বাথরুমের ভিতরে গিয়ে নানা প্রকার নেশাদ্রব্য সেবন করেন, উত্তরে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।