সোহেল হোসেন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি। লক্ষ্মীপুরে বিয়ে বাড়িতে খাবার পরিবেশন নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে বর-কনেসহ উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সদর উপজেলার ৪নং চর রুহিতা ইউনিয়নের কাঞ্চনি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ৩ জন সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন। আহতরা হলেন, বর কামাল হোসেন, বরের ভগ্নিপতি জহির হোসেন, প্রতিবেশী রাসেল হোসেন, রিয়াজ হোসেন, আলমগির হোসেন, পারভীন আক্তার।
কনে পক্ষের আহতরা হলেন, শামীমা আক্তার (ছদ্মনাম), কনের নানা আনায়ারুল্লাহ, কনের মামা খোরশেদ ও স্বপন, প্রতিবেশী রাসেল, ইমন। জানা গেছে, দুই বছর পূর্বে পরিবারের অনুমতি ছাড়া সদর উপজেলার ৪নং চররুহিতা ইউনিয়নের হুমায়ুন কবিরের ছেলে কামাল হোসেন একই ইউনিয়নের দ্বীন মোহাম্মদের মেয়ে শামীমা আক্তারকে (ছদ্মনাম) বিয়ে করেন। বরের বাড়ি চররুহিতা ৯নং ওয়ার্ডস্থ হাওলাদার বাড়ি ও কনের বাড়ি ৬নং ওয়ার্ডের মেধু মাঝি বাড়ি। তখন পানির বোতল চাওয়া মাত্রই কনে পক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কনের লোকজন এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। শুধু খাবার খাওয়ার জায়গায় নয় আহতদের গাড়িতে করে হাসপাতালে নেওয়ার সময়ও কনে পক্ষের লোকজন হামলা করে।
কনের মামাতো ভাই হারুনুর রশিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বরযাত্রীদের একজন পানির বোতল চেয়েছেন। কিন্তু তাকে তা দেওয়া হয়নি। কারণ ওনার কাছে পূর্বের একটি পানির বোতল ছিল। পরবর্তীতে পানি না দেওয়ায় কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ওনারা আমাদের লোকদের মারধর করে। এতে কনেসহ আমাদের ৬ জন আহত হয়। তাদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হযেছে। বর কামাল হোসেন বলেন, বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ১৩০ জন বরযাত্রী যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে আমরা এরচেয়ে কম গিয়েছি।
তবুও ওনারা (কনে পক্ষ) খাবার পরিবেশন করতে পারেনি ঠিকমতো। এনিয়ে আমার ভগ্নিপতি জহিরের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মারধরও করা হয়। ওই ঘটনায় আমি নিজেও আহত হয়েছি। তবে বিষয়টি কোনো মামলা হয়নি লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। ওনারা বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধান করবেন বলে জানিয়েছেন।