মনির খান বিশেষ প্রতিনিধি। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের বাকা গ্ৰামের মোবারক হোসেনের ছেলে আরমান হোসেন হৃদয়, গত ৪ মে শনিবার রাত ৭,৩০ মিনিটের দিকে এক ই গ্ৰামের নূর মিয়া শেখের মেয়ে নূরানী খানম (১৭)কে তার নিজ বাড়ির উঠানের পাশে থেকে স্যান দা দিয়ে কোপ মেরে হাত কেটে রক্তাক্ত করে এবং মেরে ফেলর হুমকি দিয়ে তাকে জিম্মি করে মুখ চেপে ধরে এক ই গ্ৰামে হৃদয়ের মামা আক্তার মোল্লার বাড়িতে নিয়ে যায়। এবং হৃদয়ের মামা আক্তার মোল্লা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আক্তার মোল্লার স্ত্রীর সহযোগিতায় নূরানী খানমের কাপড় খুলে নগ্ন ছবি তুলে ভয় দেখায়, যাহাতে অন্যত্র বিবাহ না হয়।
ওখান থেকে আবার পার্শ্ববতী মল্লিকপুর ইউনিয়নের মঙ্গল হাটা গ্রামে নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক নিকাহ্ নামায় স্বাক্ষর নিয়ে কালেমা পড়িয়ে বিবাহ দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে মেয়েটি বলেছেন ওই বিবাহে আমি কবুল বলি নাই , তবে জোর পূর্বক স্বাক্ষর নিয়েছে বলে জানান। উল্লেখ্য বিষয় স্কুলের সনদ অনুযায়ী মেয়েটির ১৮ বছর পূর্ণ হয়নি। অভিযুক্ত আরমান হোসেন হৃদয়ের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ওকে আমি দীর্ঘদিন ধরে ভালো বেসে আসছি এবং গতকাল স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে বের হয়ে আমার সাথে আসছে, তাকে আমি জোর পূর্বক আনি নাই। এবং নগ্ন কোন ছবি তোলা হয় নাই। তার জোরপূর্ব কোন স্বাক্ষরও নেওয়া হয়নি। মেয়েটিকে উদ্ধার করার জন্য মেয়েটির বাবা লোহাগড়া থানায় গিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
পরবর্তীতে লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ ও পুলিশের সহযোগিতায় মেয়েটি কে উদ্ধার করা হয়। এবং ঘটনার পরের দিন সকালে মেয়েটি কে তার বাবার কাছে অক্ষত অবস্থায় ফেরত দেয়া হয় বলে জানা যায়। মেয়েটি অপহরণের ঘটনা সম্পর্কে লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম নূর মোহাম্মদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেয়েটি কে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং মেয়েটি স্বইচ্ছায় হৃদয়ের সাথে পালিয়ে গিয়েছিল বলে আমাদের কাছে বক্তব্য দিয়েছে। মেয়েটির ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়ায় এবং মেয়ের পক্ষের কোন অভিযোগ না থাকায় অক্ষত অবস্থায় তার বাবার কাছে ফেরত দেওয়া হয়। উক্ত ঘটনা নিয়ে, লোহাগড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কাঞ্চন কুমার রায়ের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,অভিযোগ পেয়ে মেয়েটি কে উদ্ধার করেছি এবং মেয়ে পক্ষের কোন অভিযোগ না থাকায়, মেয়টি কে লক্ষী পাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তার বাবার কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে।