মোঃ শফিয়ার রহমান খুলনা পাইকগাছা প্রতিনিধ। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন পাইকগাছায় কর্মকাররা। প্রতিদিন তৈরি করছেন পশু জবাই ও মাংস প্রস্তুতে ব্যবহৃত ছুরি, চাকু, চাপাতি। সারা বছর কাজ না থাকলেও ঈদের কয়েক দিন ক্রেতাদের পদচারণায় কর্মব্যস্ত থাকেন তারা। আর সেই সাথে আয়ও হয় ভালো। সারা বছর কাজ না থাকায় কোনো ভাবে সংসার চালিয়ে নেওয়া এসব কর্মকারেরা এবারের ঈদে বাড়তি কাজ করে অধিক আয় করতে পারবেন এমনটিই প্রত্যাশা তাদের। খুলনা জেলা পাইকগাছা উপজেলার গ্রাম গায় শহরের বিভিন্ন এলাকার কামার পল্লিতে গিয়ে দেখা গেছে, ঈদকে কেন্দ্র করে জেলার সর্বত্র দেওয়া হবে পশু কোরবানি।
এসব পশু জবাই ও মাংস কাটতে দরকার ছোরা, চাপাতিসহ বিভিন্ন অস্ত্রের। আর এসব অস্ত্র তৈরি করতে ছি, । পাইকগাছা বাজার ,ও গদাইপুর বাজার, নতুন বাজার , আকোড় ঘাটা বাজার , বাঁকা বাজার, এ সকল স্থানে । ঐ হাতুড়ির টুং টাং শব্দে ঝালাপালা হয়ে উঠেছে পাইগাছা উপজেলায় কামারপাড়া সারা বছর কাজ কম থাকলেও এ সময়টা অস্ত্র তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটান তারা। গদাইপুর দেবাশীষ রায় কর্ম কার , ও ছোট বাবু কর্মকার , রঞ্জিত কর্মকার ,নতুন বাজার বিশ্বজিৎ কর্মকার , সুপম কর্ম কর আগড় ঘাটা বাজার ,দিলীপ কর্মকার , পাইকগাছা পৌর সদর দুলাল কর্মকার , তপন কর্মকার। , মোঃ ফজর আলী সরদার , মোঃ জামাল সরদার , মোঃ আব্দুল সামাদ সরদার, তৈরি করা ছুরি, চাপাতিসহ বিভিন্ন অস্ত্র মান অনুযায়ী ৩শ থেকে ৫শ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে।
এছাড়াও পিস হিসাবেও বিক্রি করা হয়। এ সময় কেউ কেউ আবার পুরনো অস্ত্র ধার দেওয়ার জন্য আনতেও দেখা যায়। গত বছরের মত এ বছরও অল্প মজুরি দিয়ে এসব অস্ত্র তৈরি করে নিচ্ছেন ক্রেতারা।এ সময় ক্রেতা মো. ফজর আলী সর্দার বলেন, সামনে ঈদ। এ বছরও আল্লাহর সন্তুষ্টি আদায়ে পশু জবাই দিবে। এ জন্য চাপাতি ও ছোড়াসহ বিভিন্ন অস্ত্রের প্রয়োজন। তাই কর্মকার পাড়ায় এসে অস্ত্রের অর্ডার দিয়েছি। দামও গত বছরের মত। আশা করছি সময় মত ডেলিভারি পেয়ে যাব। গদাইপুর দেবাশীষ রায় কর্মকার, ও মোঃ জামাল সরদার কর্মকার বলেন, ঈদের দিনে যতই ঘনিয়ে আসছে ক্রেতার চাপও দিন দিন বাড়ছে। কাজের চাপ থাকায় এক প্রকার খাওয়া-ঘুম ছেড়ে দিতে হয়েছে। সময় মত ক্রেতাদের হাতে তাদের অর্ডারকৃত অস্ত্র তুলে দিতে হবে। প্রেরক- মো: শফিয়ার রহমান পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি মোবাইল: ০১৭১২-৩৩৩১৯৫ তারিখ:১৫-০৬-২৪ইং।