মনির খান বিশেষ প্রতিনিধি। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লোহাগড়া ইউনিয়নের চরকরফা গ্রামের কসাই মিলন শেখের মেয়ে মিথিলা (১৭) দেবর আমির হামজা (২০) এর সাথে প্রেম করে অশ্লীল অবস্থায় ধরা খেয়ে তালাক দেয় স্বামী মেহেদী হাসান (২৭) কে। তালাকের ১ দিন পরই তালাক প্রাপ্ত স্বামীর হাত ধরে মিথিলার পলায়ন। জানা গেছে,৭মাস পূর্বে উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের পাংখার-চর গ্ৰামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসানের সাথে বিয়ে হয়েছিল উপজেলার লোহাগড়া ইউনিয়নের চর করফা গ্রামের কসাই মিলন শেখের মেয়ে মিথিলা পারভিনের। বিয়ের পরই দেবর আমির হামজার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ভাবী মিথিলা।
এ ঘটনায় মেহেদী হাসান লোহাগড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন, ঘটনাটি জানাজানি হলে ভাবি মিথিলা ও দেবর আমির হামজা দুজনেই আত্মহত্যার চেষ্টা করে এবং ২ জন কে ই লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করে। এর জেরে গত ২৯ জুলাই সোমবার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে উভয়পক্ষের সম্মতিতে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা খোরপোশের বিনিময় একটি খোলা তালাক হয় মিথিলা ও মেহেদির।
কিন্তু তালাকের একদিন যেতে না যেতেই চলে যাই দেবরের বাড়িতে মিথিলা। এসময় স্বামী মেহেদী হাসান উপায়অন্তর না পেয়ে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী মিথিলাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে পুনরায় বিয়ে করে।এ ঘটনায় নানামুখী গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে ওই এলাকায়। এ ঘটনায় মেহেদী হাসানের মায়ের অভিযোগ, মিলন শেখ মেয়েকে ফুসলিয়ে জোরপূর্বক তালাকের নামে আমাদের কাছ থেকে ১লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা আদায় করে নিয়ে সেই মেয়েকে আবার আমার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। এ বিষয়ে মিথিলার সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে মিথিলা বলে, আমি স্ব-ইচ্ছায় পুনরায় আবার আমার স্বামীর বাড়িতে চলে এসেছি এবং ধর্মীয় রীতি মেনে বিয়ে করেছি। মেহেদী হাসানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি পরিবারের মানসম্মান বাঁচাতে মিথিলা কে তালাক দিয়েছিলাম, কিন্তু মিথিলা আমার বাড়িতে চলে আসায় পুনরায় তাকে ধর্মীয় রীতি মেনে বিয়ে করেছি এতে যদি আমার ফাঁসি হয় হবে।