মনির খান বিশেষ প্রতিনিধি।
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শাল নগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্ৰামের এক কৃষকের মেয়ে
ধর্ষনের শিকার।
ধর্ষক মাকড়াইল গ্ৰামের কহর ফকিরের ছেলে রাজ মিস্ত্রী কিবরিয়া ফকির(৪২) গত ৭/৮ মাস পূর্বে এক ই গ্ৰামের ওই কৃষকের মেয়ে কে কিবরিয়া ফকির মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যশোর বাড়ি পরিচয় দিয়ে
প্রেম নিবেদন করে, প্রেম নিবেদনের কয়েক মাস পর হঠাৎ করে ওই মেয়ের বাড়িতে এসে কিবরিয়া ফকির হাজির হয়, এবং ঘর থেকে ওই মেয়ে কে বের হয়ে আসতে অনুরোধ করে।
ওই মেয়ে তাকে বলে বাড়িতে মা বাবা কেহই নাই ঘর থেকে বের হতে পারবোনা, কিন্তু এক পর্যায়ে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘর থেকে বের হতে বাধ্য করে। ঘর থেকে বের হয়ে আসলে তাকে বাড়ির পাশে জংগলের মধ্যে নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এমন করে ওই মেয়েকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ২ দিন ধর্ষণ করে, এবং অশ্লীল কিছু ভিডিও করে রাখে।
ধর্ষনের ৩ মাস পর ওই মেয়ের বিবাহ ঠিক হয় অন্য জায়গায়, মেয়ের বাবা একজন গরীব কৃষক, তার একটি মাত্র গরু ছিল, সেটা কে বিক্রি করে তার মেয়ে কে বিবাহ দেয়। বিয়ের ১ সপ্তাহ পর ওই নতুন বৌয়ের অংগ ভংগীতে তার শাশুড়ি সন্দেহ করে, এবং তার নতুন বৌমার ইউরিন পরিক্ষা করে দেখে সে ৩ মাসের গর্ভবতী। এবং ওই নববধূ বিবাহের ১ সপ্তাহের মধ্যেই ডিভোর্স হয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসে।
অবশেষে নিরুপায় হয়ে মেয়ের মা তার মেয়ের গর্ভের ৩ মাসের সন্তান ঔষধ সেবন করিয়ে নষ্ট করে। মেয়েটি এখন লজ্জায় তার বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না। মেয়ের মা ও বাবা বলেন আমরা গরীব মানুষ,আমার মেয়ের এতো বড় সর্বনাশের কি কোন বিচার পাবো না? বলে কান্নায় ভেঙে পড়ে।
সরেজমিনে গিয়ে আরো জানা যায়, রাজমিস্ত্রী কিবরিয়া ফকির পূর্বে ও ৩ টি বিবাহ করেছে এবং ওই এলাকার একাধিক মানুষের সংসার ভেঙেছে। এবং এলাকাবাসীরা আরো বলেন,লম্পট কিবরিয়া ফকির গভীর রাত হলেই বিভিন্ন মানুষের বাড়িতে বাড়িতে উকি ঝুকি মেরে বেড়ায়।
মেয়ের বাবা তার মেয়ের সর্বনাশের বিষয় নিয়ে বলেন ,ওই লম্পট রাজ মিস্ত্রী কিবরিয়ার বিচারের আশায় আমি সমাজ পতিদের দারে দারে ঘুরছি কিন্তু কোন বিচার পাচ্ছি না। আমি প্রসাশন ও সমাজের মানুষের কাছে বিচার দাবি করছি।