মনির খান বিশেষ প্রতিনিধি। লক্ষীপাশা পল্লী বিদ্যুতের তামার তার গভীর রাতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরির ঘটনাটি ঘটেছে কামঠানা মোচড়া রেললাইনের পাশে, যেখানে অসাধু ব্যক্তিরা পল্লী বিদ্যুতের তামার তার চুরি করে নিয়ে গেছে। স্থানীয়দের মতে, রাত আনুমানিক ২টার পর হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ চলে যায়, যার ফলে এলাকাবাসী তীব্র গরমে চরম ভোগান্তিতে পড়ে। বিদ্যুৎ না থাকায় শত শত মানুষ কষ্টে দিন পার করছে। তারা অভিযোগ করছেন, এই এলাকায় বারবার পল্লী বিদ্যুতের তামার তার চুরি হচ্ছে, কিন্তু সমস্যার কোনো স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা হাবু মুন্সী জানিয়েছেন, চুরির ঘটনাটি গভীর রাতে ঘটে এবং তাদের বাড়ির পাশ থেকেই পল্লী বিদ্যুতের তার চুরি হয়েছে। চোরেরা ধারাবাহিকভাবে একই এলাকা থেকে তার চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে, অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চুরির বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের এজিএম (সহকারী জেনারেল ম্যানেজার) জানিয়েছেন, চুরির খবর পাওয়ার পর তাদের টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে মেরামতের কাজ শুরু করেছে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, বিকল্প উপায়ে খুব শীঘ্রই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। এদিকে, পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম (ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার) স্বীকার করেছেন যে, পল্লী বিদ্যুৎ এর কামঠানা এই অংশে বারবার চুরির ঘটনা ঘটছে এবং তারা চুরি এখন পর্যন্ত এটি ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছেন। তার ভাষ্য অনুযায়ী, বারবার চেষ্টা করেও চুরি রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক হতাশা ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলেছেন, পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ কেন এই চুরি ঠেকাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। তারা আরো জানান, আগেরবার চোরকে আটক করা হলেও তাকে কেন ছেড়ে দেওয়া হলো, তা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে সন্দেহ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। এর ফলে এলাকার পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এলাকাবাসীর দাবি, পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে চুরির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। চুরি বন্ধ না হলে, বিদ্যুৎ সরবরাহে অনিশ্চয়তা ও ভোগান্তি চলতেই থাকবে। তাদের মতে, কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা ও অবহেলাই বারবার চুরির ঘটনার জন্য দায়ী। তাই এলাকাবাসী দ্রুত সমস্যার সমাধানের দাবি জানিয়েছে, যাতে তাদের ভোগান্তির অবসান ঘটে ও চোর কে সনাক্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হোক।