মনির খান বিশেষ প্রতিনিধি। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ৫৪ নং কাউড়িখোলা কামঠানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বর্তমানে চরম বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে। বিদ্যালয়ের টিনশেডের বারান্দার অবস্থা অত্যন্ত নাজুক অবস্থা। দীর্ঘদিন ধরে টিনশেডের রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় বৃষ্টি হলেই বারান্দায় পানি জমে যায়, যা শিক্ষার্থীদের এবং শিক্ষকদের চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের বৃষ্টিতে ভিজে শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করতে হয়, যা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, পানির কারণে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ঠান্ডা, কাশি, এবং অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বাজেট বরাদ্দের আবেদন করলেও এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এই অবস্থায় শিক্ষার পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে, যা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। শিক্ষকরাও একই সমস্যার সম্মুখীন। পানিতে ভিজে ক্লাস নিতে বাধ্য হওয়া তাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে উঠেছে, যা শিক্ষাদানের মানকে প্রভাবিত করছে। তাদের মতে, এই পরিস্থিতিতে মানসম্মত শিক্ষা প্রদান কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে, লোহাগড়া উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জানিয়েছেন, বাজেট প্রণয়নের সময়সীমা প্রতি তিন বছর অন্তর নির্ধারিত হয়। কিন্তু বিদ্যালয় থেকে আবেদন না পাওয়ার কারণে এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। প্রধান শিক্ষকের দাবি, তিনি যথাযথভাবে প্রয়োজনীয় চিঠি পাঠালেও তা কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে উপেক্ষিত হয়েছে। অভিভাবক এবং সচেতন নাগরিকরা এই পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান দাবি করেছেন। তাদের মতে, বিদ্যালয়ের টিনশেড দ্রুত মেরামত না করা হলে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি আরও বেড়ে যাবে এবং তাদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। সমাজের সকল স্তরের মানুষের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা এখন সময়ের দাবি। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার পরিবেশ রক্ষার্থে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।