মনির খান বিশেষ প্রতিনিধি।
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা, লক্ষীপাশা চৌরাস্তা মহাজন রোডে অবস্থিত মেসার্স ইকরামুল এন্টারপ্রাইজ। মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড সাইনবোর্ড টানিয়ে পেট্রোল,অকটেন,ডিজেল, মবিল ও গ্যাস বিক্রি করছে। মেইন রোডের পাশে গ্যাসের বোতল ও পেট্রোলের ব্যারেল রাখা হয়েছে।
গ্যাসের বোতল ও পেট্রলের ব্যারেলের সাথে, ট্রাক ও বাসের যে কোন সময় সংঘর্ষ হতে পারে এবং ওই সময় আগুন ধরে ক্ষতি হতে পারে লক্ষীপাশা চৌরাস্তার দোকানপাট ও বাড়িঘর। ওই দোকানে ডিজেল, পেট্রল,অকটেন, মবিল, জ্বালানী গ্যাস সহ দাহপদার্থ বিক্রি করা হয়।
কিন্তু অগ্নিনির্বাপক কোন ব্যবস্থা নেই। এলাকাবাসী বলেন এখানে যে কোন সময় দাহ পদার্থ আগুন লেগে ধ্বংস হতে পারে অনেক মূল্যবান দোকানের মালামাল সহ দোকান ও বাড়ি ঘর।
এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ গনবলেন, ফিলিং স্টেশন থেকে উক্ত দাহ পদার্থ গুলো ক্রয় বিক্রয় করলে হয়তো বা আমরা একটু নিরাপত্তায় চলাফেরা করতে পারতাম। উক্ত তেলের দোকানের মালিক ইকরামুল ইসলাম কাউকে তোয়াক্কা না করে মেইন রোডের পাশে দাহ পদার্থ গুলি নিরাপত্তা বেষ্টনি ছাড়া বিক্রি করে চলেছে।
লক্ষীপাশার সাধারণ ব্যবসায়ীগণ ইকরামুল ইসলাম কে অনেক বার সতর্ক করার পরও তিনি এলাকার মানুষ ও সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে অবৈধভাবে রোডের পাশে দাহপদার্থগুলো- অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ছাড়া ই তার ব্যবসা সে চালিয়ে যাচ্ছে।
আরো জানা যায় লোহাগড়া উপজেলার কিছু দুষ্কৃতিকারী, বিভিন্ন জায়গায় বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগের দাহ পদার্থ গুলি রাতের আধারে ওই অবৈধ দাহপদার্থ ব্যবসায়ী ইকরামুল ইসলামের দোকান থেকে কিনে নিয়ে তাদের অবৈধ কর্মকান্ড ও তাণ্ডব চালায়।
লোহাগড়া বাসী অতি বিনয়ের সাথে, মাননীয় এমপি মহোদয়, মাশরাফি বিন মর্তুজা ও জেলা প্রশাসক এবং লোহাগড়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার কাছে বিনীত অনুরোধ করে বলেন যাতে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।