বিশেষ প্রতিনিধি
নড়াইলের লোহাগড়ায় বঙ্গবন্ধুর ছাত্র জীবনের মিশন স্কুলের অ্যাসিস্ট্যান্ট হেড মাস্টার পরিবারকে নিয়ে কটুক্তি করেন লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সি আলাউদ্দিন।।
এক জন সাংবাদিক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উজ্জীবিত ভাই ও বোনদের বলতে চান, সাংবাদিক খন্দকার ছদরুজ্জামান, তাহার চিন্তা চেতনা ও নিষ্ঠার সাথে রাতদিন বিরামহীনভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী মাদার অফ হিউম্যানিটি রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নের ধারা বিশ্বের মানচিত্রে সব সময়ে তুলে ধরে থাকেন ও পাশাপাশি বস্তুনিষ্ঠ পূর্ণাঙ্গ সঠিক সংবাদ প্রচার করেন। সেখানে ও লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সি আলাউদ্দিনের কটুক্তি।
সাংবাদিক খন্দকার ছদরুজ্জামান সে আওয়ামী পরিবারের সদস্য, এই দলের লেবাস লাগিয়ে কতজন সাংবাদিক বাংলাদেশের বুকে আছেন, তা জানা নেই! তবে তার বড়ো চাচা মরহুম খন্দকার ওয়াহিদুজ্জামান (খোকা) হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষক ছিলেন, যা তিনি তার বাবা ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ দের কাছে থেকে শুনেছেন।
সাংবাদিক খন্দকার ছদরুজ্জামান এর বাবা মরহুম খন্দকার মাওলানা আসাদুজ্জামান( লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাওলানা শিক্ষক ছিলেন) ওনার লেখা একটি পুস্তকে লিখে গিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। কিন্তু তত্ত্বাবধায়কের সময় ফখরুদ্দিন সরকারের আমলে দুই নেত্রীর বিরুদ্ধে যখন মামলা হয়, ওনারা আটক হলেন,তখন দুই নেত্রীর জাতীয় সংসদ ভবনে স্পেশাল দুদক -৯ এর কোটের বিচারক ছিলেন তাহার চাচাতো ভাই খন্দকার কামালুজ্জামান। ওই পরিবার কে নিয়ে ও কটুক্তি করেন মুন্সি আলাউদ্দিন।
আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী মাদার অফ হিউম্যানিটি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে বেকুসুর খালাস প্রদান করেন এবং ৯৬ এর নির্বাচনে ইতনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির সাথে সাংবাদিক খন্দকার ছদরুজ্জামানের সাথে যখন ভোট চ্যালেঞ্চ বেধে গেল তখন বর্তমানের আওয়ামী লীগ নেতারা কোথায় ছিলেন।
সেই ভোটে যখন তাহার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জিতে যাচ্ছে তাঁরা বুঝতে পেরে তখন তাহারা তাঁর সেই সময়কার রহমানীয়া নার্সারির দশলাখ গাছের চারা রাতের আধারে কেটে ফেলে তখন কোথায় ছিল বর্তমানের লোহাগড়ার আওয়ামীলীগ নেতারা?যখন এ নিয়ে নিউজ হলো সেই নিউজ দেখে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তাহার পরিবার সহ ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারের দাওয়াত পত্র দিয়ে তাদের ডেকে নিয়ে কুশলাদি বিনিময় করলেন, তখন কোথায় ছিল বর্তমানের আওয়ামী লীগ নেতারা। আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন নেতা লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সি আলাউদ্দিন তাকে বলেন, সে নাকি জারজ মোস্তাকের গোষ্ঠীর লোক?
তাহার বাড়ি নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার ১১নং ইতনা ইউনিয়নের ইতনা সেই ৪৫৬ বছর থেকে তাহার পূর্ব পুরুষেরা থেকে বসবাস করে আসছে। আর ঐ খুনি জানোয়ারের বাড়ি কোথায় কুমিল্লার দাউদকান্দি যা তাহাদের চৌদ্দ পুরুষেরা কোনদিন চেনেই না। এই স্বাধীন বাংলাদেশে বর্তমানে যাঁরা আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় আছেন, আপনাদের ভিতরে বেশির ভাগই হাইব্রিড। অর্জিনাল আওয়ামী লীগ আছেন, তানা হলে দেশে কোনদিন স্বাধীন বিদ্ধস্ত বাংলাদেশের উন্নয়ন হতো না। তবে যাঁরা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকারের আমলের উন্নয়ন মুলক কাজ করতে গিয়ে দূর্নীতি করছেন তাদের বিরুদ্ধে যে সাংবাদিকের কলম চলে সেই সাংবাদিক আপনাদের মত নেতাদের কাছে জামাত বিএনপি ও শিবিরের লোক হয়ে যায়। আপনি সহ আপনাদের মতন অনেক নেতা আছেন দলের লেবাস লাগিয়ে শেখ হাসিনার সরকারের পরিপূর্ণ উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছেন এবং আপনারা যে সকল রোডের কাজ করেছেন তার বেশির ভাগ কাজ অর্ধেক করে ক্ষমতার দাপটে সেই বিল উঠিয়ে খেয়ে ফেলেছেন।তাই পরেও বলতে চাই এমন অর্ধেক কাজ যাঁরা ফেলে রেখেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকের কলম ধাবিত হবে ইনশাআল্লাহ।
লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সি আলাউদ্দিন প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে লোহাগড়া উপজেলার সাংবাদিকদের নিয়ে কটুক্তি করে। অথচ ইতনার একটি রাস্তার কাজ ক্ষমতা বলে ৩/৪ বছর ফেলে রেখেছে।
পরিশেষে আল্লাহর নিকট ফরিয়াদ জানাই তিনি যেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনাকে তাহার জীবনের বিনিময় হলেও যেন সুসাস্থ ও দীর্ঘায়ু দান করেন আমিন।