মনির খান বিশেষ প্রতিনিধি।
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চালিঘাট গ্ৰামের মাওলানা শিক্ষক নূর মোহাম্মদ মোল্লার মেয়ে মাহামুদা খাতুন এর সহিত গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার বরাসুর গ্ৰামের তবিবুর রহমানের ছেলে সজীব শেখের সহিত গত ২ জুন ২০১৬ সালে শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ হয়।
উল্লেখ্য বিষয় সজিব শেখ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকুরী করেন। সজিব শেখ ও মাহামুদার বিবাহর সময় ১ লক্ষ ১ টাকা কাবিন নামায় লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু ওই সময় সজিব শেখ এর সেনাবাহিনীর চাকুরীর নিয়ম অনুসারে বিবাহের বয়স না হওয়ার কারণে বিবাহের নিকাহ নামা রেজিষ্ট্রি না করে রেখে দেয়। সজিব শেখ এর শশুর লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার এর সহকারী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।
যখন সজীব শেখ ও মাহামুদার দাম্পত্য জীবনে কলহের সৃষ্টি হয়, তখন মাহামুদার বাবা মাওলানা নূর মোহাম্মদ সাহেব নতুন করে একটি কাবিন নামা তৈরি করার ছক তৈরি করেন, এবং সম্পূর্ণ জালিয়াতি করে ২৫ জুন ২০১৮ তারিখ উল্লেখ করেন। উল্লেখ্য বিষয় হলো কাশিপুর ইউনিয়নের মেরেজ রেজিষ্ট্রার থাকতে ইতনা ইউনিয়নের মেরেজ রেজিষ্ট্রার রুহুললাহ সাহেব কে ম্যানেজ করে ১০ লক্ষ টাকা কাবিন নামায় লিপিবদ্ধ করে উক্ত নিকাহ নামা রেজিষ্ট্রি করেন।
পরবর্তীতে ওই কাবিন নামা নিয়ে মেয়ের পক্ষ সজীব শেখের ইউনিটে হাজির হন। সৈনিক সজীব শেখের সেনাবাহিনীর নিয়ম অনুসারে ২৪ বছর বয়স, নতুবা ০৬ বছর চাকুরীর বয়স না হওয়ার কারণে সৈনিক সজীব শেখ চাকুরী থেকে বহিষ্কার হন। কিন্তু এখানে ই শেষ নয়, পরবর্তিতে মাওলানা নূর মোহাম্মদ সাহেব তার জামাতা সজীব শেখের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা ও দায়ের করেন। বর্তমান সজীব শেখ চাকুরী হারিয়ে মামলা ঘাড়ে নিয়ে দারে দারে ঘুরছেন।
অগনিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের মেরেজ রেজিষ্ট্রার রুহুললাহ বাল্য বিবাহ সহ জাল জালিয়াতির কারণে একাধিক বার জেল খেটেছেন।