মনির খান বিশেষ প্রতিনিধি।
নড়াইলের লোহাগড়ায় গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ভাতিজার ধারালো অস্ত্রের কোপে চাচা খুন। উপজেলার তালবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এবং নিহতের আর এক ভাই কচি মোল্লা (৪৮) গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহত মোঃ পটু মোল্লা (৫৫) ওই গ্রামের মৃত জালাল মোল্লার ছেলে। তিনি দিঘলিয়া ইউনিয়নের বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও গ্রাম্য সমাজ সেবায় একজন নিবেদিতপ্রাণ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত পটু মোল্লা তালবাড়িয়া গ্রামে তার ভাতিজার সাথে জমি জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলিয়া আসছে ।তার ই জের ধরে ১৩ জুন ২০২২ তারিখ রবিবার বিকাল ৩,৩০ মিনিটের সময় এ হত্যাকাণ্ড টি ঘটে। নিহত পটু মোল্লার বাড়ির পাশে ই এ নৃশংস হত্যাকান্ডটি ঘটেছে বলে জানা যায়।
নিহত পটু মোল্লার চিৎকারের শব্দ শুনে তার বাড়ির আশে পাশের লোকজন ছুটে এলে হত্যাকারীরা পালিয়ে যায়, তাৎক্ষনিক স্থানীয় লোকজন পটু মোল্লাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন হাসতাপালে আনার পূর্বেই পটু মোল্লার মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
ধারলো অস্ত্রের আঘাতে পায়ের ও হাটুর বিভিন্ন স্থানে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে স্পষ্ট। লোহাগড়া থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছেন।
উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের আক্কেল আলী বলেন, তলবাড়িয়া গ্রামটি পূর্ব থেকে অস্থিতিশীল। গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তারের সংঘাত মেটাতে আমরা রাজনৈতিক ভাবে দফায় দফায় স্থানীয় পর্যায়ে মিটিং করে গ্রামের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আনার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। এর মধ্য দিয়ে এই পরিকল্পিত নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটেছে। যাহারা এই পরিকল্পিত হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
খবর পেয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। সব ধরনের সংঘাত এড়াতে বর্তমানে ওই গ্রামে পুলিশ মোতায়েন আছে।
হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের আটকের জন্য সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত আছে।