মনির খান বিশেষ প্রতিনিধি।
নড়াইলের লোহাগড়া সরকারি আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহি খেলার মাঠ দখল-বিক্ষুদ্ধ সচেতন মহল।
আর তারই ধারাবাহিকতায় ঘটনা স্থানে উপস্থিত হলেন নড়াইল২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা, তিনি ঘটনা স্থানে এসে ক্রিড়াপ্রেমী জনগণের মতামতের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ নেতা ফয়জুল হক রোম কে নির্দেশ দিলেন ১০ দিনের মধ্যে উক্ত খেলার মাঠ কে জলাবদ্ধতা দূর করে উপযুক্ত খেলার মাঠ হিসাবে তৈরি করতে। যাহাতে ছেলেরা ওই মাঠে খেলাধুলা করতে পারে।
নড়াইলের লোহাগড়ার প্রাণকেন্দ্রে লোহাগড়া সরকারি আদর্শ মহাবিদ্যালয়, এ’বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল’কে ম্যানেজ করে একমাত্র ঐতিহ্যবাহি খেলার মাঠ দখল করেছে। ৪ একর জমির অধিক এ খেলার মাঠের শুরুতেই তাজা বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে সাবাড় করেছে।মাত্র ৬টি মধ্যম সাইজের দেবদারু গাছ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
বাকি বড়বড় গাছ লোপাট করেছে সুবিধা বাদিরা ! এরপর এসকে’বেটর মেশিন দিয়ে খালকেটে মাঠটি খনন করে মাঠের চার পাশে তৈরি করেছে সুউচ্ছ মাটির বেড়িবাঁধ।
শুধু এটাই শেষ নয় এর দক্ষিণে সড়ক সংলগ্নস্থানে জেলা পরিষদের বহূজমি। সেখানে মাটিকেটে বালু ভরাট করে “মার্কেট করার পাঁয়তারা করছে বলে স্থানিরা জানান। সরোজমিনে গেলে স্থানিয়রা জানান,- ক্ষমতাসিন দলের চিন্হিত প্রভাবশালী কয়েক”জন নেতা খেলার মাঠটি দখল করে ৪বছরের জন্য বালুর ব্যবসা করবেন।
তাঁরা ৪বছর পর মাঠে বালু ও মাটির বেড়িবাঁধ কেটে মাঠ উঁচু ও সমতল করন সহ কলেজের মধ্যের বড় পুকুর’টি ভরাট করে দিবেন। সচেতন মহলের প্রশ্ন? প্রিস্নিপাল সকল নিয়ম কানুন’কে তোয়াক্কা না করে “কলেজের একযমাত্র খেলার মাঠ কিভাবে বিশেষ স্বার্থে গোপনে ইজারা দিলেন!? তাজা বড় ছোট বিভিন্ন প্রজাতির গাছ যথার্থ অনুমতি ছাড়া প্রকাশ্যে কেটে নিয়েছেন? কলেজের মধ্যের বড় পুকুরটি পরিবেশ ও নিয়ম কানুন না’মেনে ভরাট করার অনুমতি কিভাবে দিয়েছিলেন?
বালু উত্তোলন করা চাতালের এস্থানের পানি ও বালুতে পার্শবতি এলাকার পরিবেশের চরম বিপর্যয় হবে। সাংবাদিক ও সচেতন মহলের কাছে তিনি এখন বলছেন, আমি কিছুই জানি না!
এ’প্রসঙ্গে ফয়জুল হক ‘রোম জানান,-মাঠটির একাংশে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তার জন্য আমরা ৪বছর বালুর ব্যাবসারপর বেড়িবাঁধের মাটি ও কিছু বালু দিয়ে মাঠটি উঁচু করে তৈরি করেদেব। আর কলেজের মধ্যের বড় পুকুরটি ভরাট করেদেব। মধুমতি নদী থেকে বালু উত্তোলন করে পাইপের মাধ্যমে মাঠে করা চাতালের এ স্থানে রাখা হবে। বালু উত্তোলন করা চাতালের এস্থানের পানি নদীতে ফেলে দেওয়া হবে।
সরেজমিনে প্রাপ্ত অভিযোগ ও দেখা যায়,- লোহাগাড়া পৌর শহরের ভিতর সরকারি আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখল করে এমন একটি কাজ করছে।তাতে ওই এলাকার জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা প্রভাবশালি দখলদার ও তাঁদের বাহিনীর ভয়ে মুখ খুলে কিছু বলতে পারছেন না। তবে ঐ খেলার মাঠ টি রক্ষায় লোহাগাড়া উপজেলাসহ জেলার সচেতন মহল ইতিমধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিক্ষোভ সমাবেশ’সহ নানান কর্মসূচি’র জন্য গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। এ’মাঠে আর কয়েক দিনপর হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে রথের মেলা শুরু হতো!? কিন্তু তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।
মাঠের পাশে বসবাসরত জনগণের বক্তব্যের মাধ্যমে জানাযায়,- আওয়ামীলীগ নেতা ফয়জুল হক রোম এ’কাজটি করছেন। স্বয়ং প্রিন্সিপালের উপস্থিত ছিলেন এসময় লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সি আলাউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মেয়র লোহাগড়া পৌরসভা সৈয়দ মশিয়ুর রহমান সহ অনেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদের মধ্যে কয়েকজন বালুর ব্যবসার সাথে অংশীদার আছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসি।শুধু এটাই শেষ নয়।এমাঠের দক্ষিণে সড়ক সংলগ্নস্থানে জেলা পরিষদের বহূজমি। সেখানে মাটিকেটে বালু ভরাট করে “মার্কেট করার পাঁয়তারা করছে বলে স্থানিরা জানান।
ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া অনুরাগীরা এলাকার সচেতন মহল,- মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী, এমপি মাশরাফি বিন মোর্তজা, জেলা প্রশাসকসহ উর্ধতন কতৃপক্ষের আ্শুহস্তক্ষেপ কামনা করেছে। এ’ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। এছাড়াও মাঠটি দখল মুক্ত করে খেলার মাঠ হিসাবে দ্রুত উপযোগী করে এবং পুকুরটি রক্ষারও দাবি জানিয়েছেন।
গতকাল ২১ জুন ২০২২ তারিখ মাননীয় সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা সরেজমিনে গিয়ে লোহাগড়া আদর্শ সরকারি কলেজের মাঠ কে ১০ দিনের মধ্যে জলাবদ্ধতা দূর করে উপযুক্ত খেলার মাঠ হিসাবে তৈরি করতে আদেশ দেন।