বিশেষ প্রতিনিধিঃ খন্দকার ছদরুজ্জামান নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের সুযোগ্য ভাইস চেয়ারম্যান জননেতা গরীব অসহায় খেটে খাওয়া মানুষ বন্ধু ও সমাজ সেবক বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শিত নিঃসার্থ-কর্মী মোঃ কামাল হোসেন ভুঁইয়া মাশরাফি বিন মর্তুজাকে নিয়ে লোহাগড়া উপজেলার মানুষের উন্নয়নের স্বপ্ন দেখে আসছেন। সেটাই বললেন যুবকদের মাঝে এক অনুষ্ঠানে। জনাব বি এম কামাল হোসেন ভুইয়ার গঠন মূলক বক্তৃতায় তিনি বলেন সকলের ভেদাভেদ ভুলে, আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রথম সোসাল মিডিয়া ফেসবুকে আমাদের এমপি মহোদয় জবাব মাশরাফি বিন মর্তুজা’র মনোনয়নের খবর প্রচার করেছিলাম।

এতে করে আমাকে লোহাগড়া ও নড়াইলে অনেক রাজনৈতিক নেতার কাছে গাল-মন্দ শুনতে হয়েছিলো। তাতে ও কোন কষ্ট পাইনি বা কিছু মনে করিনি, কারণ কিছু পেতে গেলে কিছু শুনতে হয় । সব কিছুই মাথা পেতে নিয়েছিলাম কারন অবহেলিত নড়াইলের উন্নয়নের জন্য এমন একজন এমপি আমাদের দরকার ছিলো। জনাব মাশরাফি বিন মর্তুজা এমপি হয়ে আসছেন বলেই অবহেলিত নড়াইল কে আজ উন্নয়নের সর্ব-শিখরে নিয়ে যাচ্ছেন। এটাই আমাদের শান্তি। জনাব মাশরাফি বিন মর্তুজা এমপি হওয়ার পর কোন দিন তার কাছে কোন কাজ বা অন্য কিছুর জন্য কোন সুপারিশ চাইতে যাইনি। কিন্তু আমাদের ও তো সামাজিক একটা মূল্যবোধ আছে। আজ আমাদের অবস্থান কোথায়…??? আজ রাজনীতি তে আমাদের দাবায় রাখা হচ্ছে। পদ-পদবী থেকে আমাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে কিন্তু কেনো.? যাইহোক আমরা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী, আমি কামাল হোসেন ভুঁইয়া আপনার পাশে আছি, কারণ এই লোহাগড়া উপজেলার মানুষ ভালো থাকলে আমরাও ভালো থাকবো।

আজকের লোহাগড়া উপজেলার সুযোগ্য চেয়ারম্যান বর্ষীয়ান নেতা সিকদার আবদুল হান্নান রুনু ভাই, ওনার অনেক বয়স হয়ে গেছে, তাই আজকে উনি ও আমি লোহাগড়ার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছি।শুধু লোহাগড়া উপজেলার মানুষকে ভালো রাখার চেষ্টা করেছি। যতগুলো কাজ করেছি শুধু লোহাগড়া উপজেলার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছি। আপনারা বিশ্বাস করবেন না, কারণ আমরা দৃশ্যমান অনেক কিছু করতে পারি না। এখানে ৪০হাজার মানুষের বসবাস আমরা ৪০ জন মানুষকেও জানাতে পারিনা।তবে এটা আমাদের ব্যর্থতা নয়। আমরা আপনাদের উন্নয়ন বলেন সামাজিক যোগাযোগ বলেন, আমরা সকলের জন্য চেষ্টা করছি। আমরা স্বপ্ন দেখি কি করে লোহাগড়ার মানুষ ভালো থাকবে।আজকে মাননীয় সংসদ মাশরাফি বিন মুর্তজা সে একটা স্বপ্নের জায়গা থেকে আসছে, অনেকেই জানেন আবার অনেকেই জানেন না, আমি কামাল হোসেন ভুঁইয়া এমপি মাশরাফি বিন মুর্তজা’র আত্মীয়, আমি বিশ্বাস করি এমপি মহোদয় লোহাগড়া আসলে আমার লোহাগড়ার উন্নয়ন হবে। এই কথা যেদিন আমি বিশ্বাস করেছিলাম আর সেদিন বিশ্বাস করেছিলাম বিধায়, আমি তাঁকে তাঁর বাসায় গিয়ে যতবার বুঝিয়েছি এই লোহাগড়ার মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন যদি করতে চাও, তাহলে লোহাগড়ার মানুষের পাশে তোমাকে যেতে হবে।

তোমার নিজের জন্য নয় আমাদের পাশে থাকতে হবে। আমাকে আপনারা যাঁরা বেক্তিগত ভাবে চেনেন,এই সাড়ে তিন বছর হয়ে যাচ্ছে। আমি বেক্তিগত ভাবে কোনো লাভবান হইনাই।আমি চেষ্টা করে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে এনেছিলাম আমার ভাগ্যের পরিবর্তন করার জন্য নয়, আমাদের সার্বিক লোহাগড়া বাসির ভাগ্যের পরিবর্তন করার জন্য। তাই আজ আমি সার্থক, যে ভালোবাসা থেকে মাশরাফি বিন মুর্তজার উদয় হয়েছে,সেই ভালোবাসা থেকেই মাশরাফি বিন মুর্তজা আপনাদের মাঝে কাজ করছেন এটাই আমার জীবনের সার্থকতা।

আমি কামাল হোসেন ভুঁইয়া আপনাদের আরেকটা কথা বলে নিজেকে জলাঞ্জলি দিয়ে বলবো, আমি এরই মধ্যে মাশরাফি বিন মুর্তজা’র কাছে গিয়ে বলেছিলাম কাকা আমাকে কিছু কাজ দেন,উনি আমাকে বলেছিলেন কাকা আপনি আমাকে কিছু নাম দেন। আমি বলেছিলাম না কাকা আপনি লোহাগড়া আসুন, লোহাগড়ার মানুষের পাশে এসে তাদের জন্য আপনি কিছু করেন। আমার জন্য নয়, আজ যে বেক্তি দিনে একশো টাকা পায় সে ঐ একশো টাকা পেয়ে সন্তুষ্ট থাকে কাকা।আজ আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহার হীরার টুকরা মাশরাফি বিন মুর্তজাকে পেয়েছিলাম বলেই লোহাগড়া-নড়াইলের মানুষ শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে।

পরিশেষে আরেকটি কথা বলতে চাই, আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে মাশরাফি বিন মুর্তজার মাধ্যমে আমাদের নড়াইল জেলাকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার অংশ হিসাবে মাদক সন্ত্রাস জঙ্গি মুক্ত একটি সুখী সমৃদ্ধশালী জেলা গড়ি।