রকিবুল ইসলাম রুবেল,লালমনিরহাট প্রতিনিধি
লালমনিরহাট সদর ইউএনও মাহমুদা মাসুম দিনভর দেনদরবার করে গভির রাতে লালমনিরহাট -৩ আসেনের এমপির বরাদ্দ টিআর,কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্প কাজ ১০ ভাগ শেষ না হতেই বিলে স্বাক্ষর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
২৮ জুন দিনভর বিলে স্বাক্ষর না করে গভির রাতে স্বাক্ষর করা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
লালমনিরহাট সদর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়,২০২১-২০২২ অর্থ বছরে লালমনিরহাট সদর-৩ আসনের এমপি জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের ১ কোটি ৬১ লক্ষ ১৮ হাজার ৬২ টাকা বরাদ্দ দেন।
তার মধ্য গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ(টির)৪৬ প্রকল্পের অনুকূলে ৪৯ লক্ষ ৫৭ হাজার ৬ শত ৬৬ টাকা এবং গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার(কাবিটা নগদ অর্থ)৩৩ টি প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দ দেয়া হয় ১ কোটি ১১ লক্ষ ৬০ হাজার ৯ শত ৯৬ টাকা।
অভিযোগ উঠেছে বেশির ভাগ প্রকল্পের কাজ ১০-২০%ও শেষ হয়নি।তাতেই লালমনিরহাট সদর ইউএনও মাহমুদা মাসুমের বিলে স্বাক্ষর করেছেন।উপজেলা এলাকায় এই গল্পটিই আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বলেন,যেহেতু প্রকল্পের কাজের মেয়াদ ৩০ জুন।কোন কাজ শেষ হয়নি।প্রকল্পের জন্য বরাদ্দের অর্থ ফেরত যেতে পারে তাই সদর ইউএনও মাহমুদা মাসুম অনৈতিক সুবিধা নিয়ে বিলে স্বাক্ষর করেছেন।
সরেজমিন তদন্তে দেখা যায়,প্রকল্পের জন্য যে রাস্তা গুলো দেখানো হয়েছে তাতে নামে মাত্র মাটি ফেলানো হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মশিয়ার রহমান বলেন,কোন কাজই শেষ হয়নি।২৮ তারিখ গভির রাতে ইউএনও ম্যাডাম বিলে স্বাক্ষর করেছেন।কেননা এই দিনই জুন ক্লোজিং এর শেষ দিন।তা না হলে টাকা ফেরত যাবে।তাই প্রকল্প শেষ দেখিয়ে বিল পাশ করা হচ্ছে।তবে আমরা কাজ শেষ না হলে কাওকে টাকা দিবো না।
সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন বলেন,আমি কোন অন্যায় কাজে নেই।আইনে প্রকল্পের কাজ শেষ না হলে টাকা ফেরত যাবে সাথে জরিমানাও হবে।শুনেছি কাজ শেষ হয়নি।আমার কিছু করার নেই।সবই ইউএনও দেখে।
লালমনিরহাট সদর ইউএনও মাহমুদা মাসুম সেল ফোনে বলেন মিটিংয়ে আছি।পরে কথা হবে।মুঠো ফোনে মেসেজ দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।