মনির খান বিশেষ প্রতিনিধি ।
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের লংকার চর ও পাংখার চর এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত আধিপত্যের বিস্তার কে কেন্দ্র করে ঘাত সংঘাত চলে আসছে। এবং খেলাধুলা কে কেন্দ্র করে একটি গন্ডগোলের সৃষ্টি হয়।
সেটার মিমাংসার লক্ষ্যে ইতনা ইউনিয়নের সুযোগ্য চেয়ারম্যান শেখ শিহানুক রহমানের সভাপতিত্বে গত ৯ জুলাই ২০২২ তারিখে লংকার চর পাংখারচর সন্ধ্যাকালীন বাজারে লংকার চর ও পাংখার চরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের কে নিয়ে এলাকার শান্তির শৃঙ্খলার লক্ষ্যে একটা সম্প্রীতির বন্ধন তৈরির বৈঠকে বসেন।
ওই বৈঠকে চর লংকার চরের কিছু উশৃংখল ক্যাডার বাহিনী চেয়ারম্যান কে ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কে তোয়াক্কা না করে লংকার চরের বাবন শেখের ছেলে মহিদুল ইসলাম সানির নেতৃত্বে টুটুল মৃধা, কিসলু মৃধা, পিকুল মৃধা, আনিস মৃধা ও আফজাল মীর সহ আরো অনেকে মিলে আ: রহিম কে ধারালো ছুরি দিয়ে শরীরের নিন্মাংগের পাশে আঘাত করলে তৎক্ষণাৎ মাটিতে পড়ে যায় এবং তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
রোগীর পরিস্থিতি অবনতি হলে তাকে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। এখনো পর্যন্ত রোগীর পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক বলে জানা যায়। এ ছাড়া ও আরো ২/৩ জন আহত হয়েছে। এবং লংকার চর ও পাংখার চর সন্ধ্যাকালীন বাজারের দোকান ঘর ভাংচুর ও ৩ টি মিটার ভাংচুর সহ টাকা পয়সা ও মালামাল লুট পাট হয়েছে জানা যায় ।
গত ১২ জুলাই ২০২২ তারিখ আহত আ: রহিম এর বাবা আবুল হাসেম বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় ৬ জন কে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ০৬/১৩৫ । আহত আ: রহিম এর মা, বাবা প্রসাশনের কাছে দ্রুত ন্যায় বিচারের দাবি জানান।
আসামীগন হলেন, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চর লংকার চর গ্ৰামের ১/ মৃত্যু বাবন শেখের ছেলে মহিদুল ইসলাম সানি ২/সৈয়দ মৃধার ছেলে টুটুল মৃধা ৩/ সৈয়দ মৃধার আর এক ছেলে কিসলু মৃধা ৪/ নওশের মৃধার ছেলে পিকুল মৃধা ৫/ বাদশা মৃধার ছেলে আনিস মৃধা ৬/আরব আলী মীর এর ছেলে আফজাল মীর।