মনির খান বিশেষ প্রতিনিধি।
নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার প্রকৌশলী শাখার পিয়ন বাবু সিকদার কে নিয়ে ২ টি অফিসে টানাহেঁচড়া শুরু হয়। পরবর্তীতে দুই কর্মকর্তার মধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
গত ১৯ জুলাই ২০২২ তারিখ শেখ স্যাইয়াদুল হক সহকারী প্রকৌশলী (সিবিল) স্থানীয় সরকার বিভাগ লোহাগড়া পৌরসভা নড়াইল। তিনি অভিযোগ করে বলেন আমার প্রকৌশলী শাখার পিয়ন বাবু সিকদার কে নিয়ে সর্বক্ষণ টানাহেঁচড়া করে ব্যবহার করে আসছে লোহাগড়া পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তৌফিক আলম।
তখন আমি মুঠোফোনে তৌফিক আলম কে বলি দেখেন আমার শাখার পিয়নকে নিয়ে যদি সারাক্ষণ ব্যবহার করেন, তাহলে আমাদের অফিসের কাজের ব্যাঘাত ঘটে, এই কথা বলতেই তিনি উত্তেজিত হয়ে ফোনটি কেটে দেন। পরবর্তীতে আমি তৌফিক আলমের অফিসে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করি,এর ই মধ্যে হঠাৎ তৌফিক আলম উত্তেজিত হয়ে আমাকে বলেন আপনার বাড়ি গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়া তাতে কি হয়েছে ভয় পাইনা।
প্রধানমন্ত্রীকে ও গুণার সময় নাই। ওই সময় দুজনের মধ্যে তর্ক বিতর্কের মধ্য দিয়ে স্যাইয়াদুল হক কে তৌফিক আলম সজোরে ঘুসি মারেন এবং ওই ঘুষি ঠেকাতে গিয়ে তৌফিক আলম নিজেই পড়ে যান এবং হাতে আঘাত লেগে তাহার আঙ্গুল ফ্যাকচার হয়ে যায়। পরবর্তীতে তিনি থানা ও মিডিয়াই স্যাইয়াদুল আলমের নামে নিউজ/অভিযোগ দায়ের করেন।
পরবর্তীতে পৌর সহকারী প্রকৌশলী স্যাইয়াদুল হক বাদী হয়ে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা তৌফিক আলমের বিরুদ্ধে লোহাগড়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
স্যাইয়াদুল হক প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান তৌফিক আলম প্রধানমন্ত্রী ও গোপালগঞ্জকে নিয়ে কটুক্তি করেছে তাঁহার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আসা ব্যক্ত করেন।