রকিবুল ইসলাম রুবেল,লালমনিহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তৌফিক আহমেদের সততাই কাল হয়েছে।
একের এক নানা অনিয়মের বিষয়ে খবর প্রকাশ করা হচ্ছে যার মাষ্টার মাইন্ড প্রধান অফিস সহকারী মাহবুব জামান লিকু বলে জানা গেছে।
জানা যায়,আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার তৌফিক আহমেদ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে ২০২০ সালে ২২ আগষ্টে যোগদান করেন।
২ বছরে হাসপাতালটির ব্যাপক উন্নয়ন করেন।যা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মিডিয়ায় উঠে এসেছে।কিন্তু তার যোগদানের পর হাসপাতলে কর্মরত আগের কিছু দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা সুবিধা করতে না পেরে কর্মক্ষেত্রকে অনিরাপদ দাবী করে ২১ জুলাই সিভিল সার্জন বরারার বদলীর আবেদন করেন।
অভিযোগকারীরা হলেন,প্রধান অফিস সহকারী মাহবুব জামান লিকু,হার্বাল এসিটেন্ড ইসমোত আরা রানী,পরিসংখ্যানবিদ আসাদুজ্জামান,জুনিয়র মেকানিক পুতুল চন্দ্র রায়,অফিস সহকারী মাইদুল ইসলাম,সফিক আহমেদ ও প্রমদ চন্দ্র রায়।
প্রধান অফিস সহকারী মাহবুব জামান লিকুর বাড়ী আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নে হওয়া তিনি কর্মক্ষেত্র এলাকার প্রভাব খাটান।যা মেনে নিতে পারেননি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার তৌফিক আহমেদ।তিনি মাহবুব জামান লিকুকে সঠিক নিয়মে অফিস করতে বললে তিনি বিষয়টি ভালভাবে নেননি।তাই কারনে অকারনে সুযোগ খুঁজে বিভিন্ন সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে বিপদে ফেলতে মিডিয়ায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করান।এমনটাই দাবী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার তৌফিক আহমেদের।
প্রধান অফিস সহকারী মাহবুব জামান লিকুর নামে বে নামে কোটি টাকার সম্পদ।লালমনিরহাট পৌরসভার টেলিফোন অফিসের পাশে তার রয়েছে আলিশান ৫ তলা বাড়ী।সম্প্রতি তার ছেলে প্রাইভেট মেডিকেলে ৩২ লক্ষ টাকা নগদ দিয়ে ভর্তি হয়েছে।
প্রধান অফিস সহকারী মাহবুব জামান লিকুর বেতন সরকারি হিসেবে ২০ হাজার টাকা।ব্যাংকের লোন কেটে তিনি পান ১০ হাজার টাকা।আদিতমারীতে কিছুদিন আগে বিক্রয় করেছেন ৫ দন যায়গা।ব্যাংকে কোটি টাকা এফডিআর।একজন প্রধান অফিস সহকারীর এত টাকার উৎস কোথায় প্রশ্ন থেকেই যায়?
বেশ কিছু দিন ধরে আদিতমারী উপজেলা ৫০ সয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন সরকারি বাজেটের টাকা প্রধান অফিস সহকারী মাহবুব জামান লিকু কাছে হিসাব চান আদিতমারী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা তৌফিক আহমেদ।কিন্তু লিকু হিসাব না দিয়ে কর্মস্থলের কর্মীদের স্বাক্ষর নিয়ে কর্মস্থল নিরাপদ নয় বলে উল্লেখ করে সিভিল সার্জন বরাবর অভিযোগ করেন।
সেই অভিযোগে স্বাক্ষরকারী হারবাল এসিটেন্ড ইসমত আরা রানী বলেন,আমার কাছে মাহবুব জামান লিকু স্বাক্ষর নিয়ে বলেন আপনাদের আর্থিক চাহিদা প্রেরণ করা হবে।এজন্য আমি স্বাক্ষর করেছি।আগে যদি জানতাম যে অভিযোগ দিবে তাইলেতো স্বাক্ষর দিতাম না।
এদিকে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তৌফিক আহমেদ রংপুর দুদক বরাবর মাহবুব জামান লিকুর কর্মস্থলে বিভিন্ন অনিয়মের একটি অভিযোগ প্রেরণ করেছেন।
এ বিষয়টি বুঝতে পেরে চতুর লিকু ২৪ জুলাই সকাল ১০ টা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তৌফিক আহমেদের বদলীর দাবিতে মানব বন্ধন করান।
দুদক বরারবর অভিযোগে ডা.তৌফিক উল্লেখ করেন,মাহবুব আলম লিকু কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দ্বায়িত্বে থাকা কালীন সময়ে ২৪ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন।যা প্রমানিত হওয়ায় তাকে দোষী সাবস্ত করে অফিস সহকারী হিসেবে পদাবনমন করা হয়।
এ বিষয়ে মাহবুব জামান লিকু বলেন,আমার বিষয়ে আনিত অভিযোগ মিথ্যা।
আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তৌফিক আহমেদ বলেন,আমি মাহবুব জামান লিকুর কাছে হিসাব চাহিলে তিনি হিসাব না দিয়ে আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করে যাচ্ছেন।
রকিবুল ইসলাম রুবেল,লালমনিহাট
মোবাইলঃ০১৭৮৪১০০৫৫০