বিশেষ প্রতিনিধিঃ খন্দকার ছদরুজ্জামান
নড়াইল সদরের মাইজপাড়া বাজার সংলগ্ন মরহুম বদরুল আলম’য়ের বিধবা ২য়’স্ত্রী সিমা খান’য়ের গর্ভজাত একমাত্র ইয়াতিম নাবালক শিশু পুত্র মোঃ শাহিন রেজা। এলাকার একটি চিন্হিত সশস্ত্র গোষ্টি দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বসতভিটা দখলের চেষ্টা চালায়!? পুলিশের সময়োচিত পদক্ষেপে আপাতত স্থগিত হলেও আতংকিত পরিবারটি! সম্পদ জানমাল রক্ষায় প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
প্রাপ্ত অভীযোগ ও সরোজমিনে দেখাযায়,- শনিবার ১৬জুলাই ভোরে ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর গ্রামের সরোয়ার মোল্যার পুত্র বিজেবি সদস্য মনির হোসেন, একই গ্রামের হানিফ মোল্যার পুত্র আশা এন জি ও কর্মি নুর ইসলাম’, নুর ইসলামের স্ত্রী মাইজপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তহমিনা খাতুনএরা জমির মালিকানা দাবি করে লোকজন নিয়ে দখলের চেষ্টা চালায়।
তাদের নেতৃত্বে ১০-১২জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বসত বাড়ির টিনের ঘরের চালা বৈদ্যতিক পানীর মটর ও মালামাল ফেলে উঠানে ট্রলি দিয়ে মাটি ভরাট শুরু করে। বাধাদিতে বিধবা সিমা তার শিশু পুত্র ও স্বজনদের অকথ্যা ভাষায় গালমন্দ এবং হত্যার হুমকি দিয়ে জিম্মি করে উঠানে মাটি ফেলতে থাকে। একপর্যায়ে পুলিশের সময়োচিত পদক্ষেপে আপাতত স্থগিত হয়।
বিধবা অসহায় সিমা আরো জানান,-আমার স্মামি বদরুল আলমের ১ম’স্ত্রী আমার বোন- তার ২সন্তান,পুত্র এস এম সেলিম ” টুটুল ও কন্যা সেলিনা সুলতানা “রিপা। এ’২সন্তান রেখে তার মা মৃত্যু বরণ করেন। পরে বদরুল আলম’য়ের সাথে আমার বিবাহ হয় পারিবারিক ভাবে। আমার গর্ভজাতক ১মাত্র পুত্র সন্তান শাহিন আলম। আমাদের মোট ২পুত্র ও ১কন্যা সন্তান।
স্মামি বদরুল আলম ১২ফেব্রুয়ারি ২০১৯সালে মৃত্যুর’পর এলাকার জনপ্রতিনিধি গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও আত্মীয় স্বজনেরা উপস্থিত হন। তাঁদের উপস্থিতে সকলে ১পক্ষের ২সন্তানের সন্মতিতে আমার ও সন্তান শাহিন আলমের’কে মাইজপাড়া মৌজার ১১৮২-৮৩ দাগের বসত ভিটার থেকে ৩১শতক জমিদেন। এ’জমি আমি ভোগ দখল করে আসছি। আমার এজমির অংশ থেকে রিপা ১০শতক বিক্রি করে।
সেলিম- তার বোন রিপা’র সম্পত্তি বাড়ির অংশ প্রায় ৯শতাংশ ইতিপূর্বে ইন্ডিয়ায় চিকিৎসায় যাওয়ার জন্য মৌখিক ভাবে বিক্রয় করে। এবাবদ বোন রিপাকে ৩ লাখ টাকাদেয়। ইন্ডিয়া থেকে রিপা আসারপর তাঁকে ১লাখ ও পরে আরো ১লাখ টাকাদেয়। এ’বাবদ রিপা’কে সেলিম ৫ লাখ টাকা নগত দেয়। কিন্তু রিপা ভাই টুটুলকে জমি লিখে না’দিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে বছরের পর বছর ঘোরাতে থাকে।
সু’চতুর রিপা জনশ্রতি সম্প্রতি আমার ও নাবাল্যক পুত্রের ভাগের অংশের দখলীয় জমি তন্চকিপূর্ন ভাবে ১৩ লাখ টাকায় বিক্রয় করেছে। ক্রেতাদের সাথে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আপোস সিদ্ধান্তে যাই। কিন্তুু দলিলে সালামি বেশি তোলে। শালিসগণ ২২ লাখ ৮০ আশি হাজার টাকায় জমির ক্রেতাদের দিয়ে ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্তদেন, টাকা কুরবানী ঈদের ২দিনপর দেওয়ার দিনধার্য ছিলো।
বসত ভিটার ক্রেতাদের টাকা ফেরতের জন্য ইতিপূর্বে পুত্র সেলিম মাঠের জমি বিক্রি করার জন্য ক্রেতা ঠিক করে। কৌশলে বাদসাধে ঐ মহল, তাঁরা ক্রেতাকে জমি ক্রয় থেকে নিবৃত করে। এ কারনে নিদৃষ্ট সময়ে আপোশ মিমাংসার টাকাদিতে পারছেনা। অপরদিকে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জমি দখলের পায়তারা করছে।
বিধবা অসহায় সিমা,-যে কোন মুহুর্তে বসত ভিটা দখলের আশংক্ষা প্রকাশ করেছে। তিনি প্রসাশন জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় সচেতন মহলের নিকট বসত ভিটা জানমাল সম্পদের নিরাপত্তা দাবি করেছেন!?
অভিযুক্ত বিজেবি সদস্য মনির হোসেন, আশা এন জি ও কর্মি নুর ইসলাম’, নুর ইসলামের স্ত্রী মাইজপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তহমিনা খাতুনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তাঁরা কোন মন্তব্য বা কিছু জানতে রাজি হননি।