মনির খান বিশেষ প্রতিনিধি।
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের ঈদুল আযহার ( ভিজিএফ) এর চাউল বিতরনে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়।
গত ১০ জুলাই ঈদুল আযহা উপলক্ষে পি আই ও অফিস কর্তৃক দিঘলিয়া ইউনিয়নে ১০ কেজি করে ৫৪০ জনের নামে ৫ টন ৪৪০ কেজি চাউল বরাদ্দ পাই। সেই মোতাবেক অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিন ৫০১ জনের নামের তালিকা করে চাউল বিতরণ করেন। কিন্তু ওই ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডে সমন্ময় করে চাউল বিতরণ করা হয় নাই।
সরোজমিনে যেয়ে খোজ খবর নিলে এক এক করে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসতে থাকে। ৯ টি ওয়ার্ডের তালিকা দেখে সরোজমিনের কোন মিল নাই। যাদের নাম শুন্যে ভাসছে তাদের চাউল নিলো কে? তাছাড়া যে ওয়ার্ডে ৫০ বছরেও কোন হিন্দু ধর্মের লোক বসবাস ছিলো না সেই সকল ওয়ার্ডে হিন্দুদের নাম দিয়ে চাউল উত্তোলন করেছে। যা নিয়মের / বিধির পরিপন্থী।ওই ইউনিয়নের সদস্য মোঃ ফিরোজের সংগে কথা হলে তিনি বলেন আমার ওয়ার্ডে লোক সংখ্যা ২ হাজারের উপরে কিন্ত চাউলের নামের তালিকা ৭ টি তার মধ্যে যাদের নাম আছে দুজন পাই নাই আর যে দুজনের নাম আছে ওই নামে আমার ওয়ার্ডে কোন লোক নাই। আমি মনে করি এটা দূর্নীতির সামিল। সদস্য খোকন বলেন আমার ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৯৯৬ টি আমি পেয়েছি মাত্র ১০ টি কার্ড তাছাড়া আমার ওয়ার্ডে কোন হিন্দু লোকের বসবাস নাই কিন্ত তালিকায় ১৪/১৫ জন হিন্দু ব্যাক্তির নাম আছে এটা কি করে সম্ভব হলো তা আমার বোধগম্য নয়। সদস্য ওমল বিশ্বাসকে তালিকা দেখানো হলে তিনি বলেন আমি অধিকাংশ লোক চিনি না আমি ১৪ টি কার্ড পেয়েছি তা ১৪ জনের মধ্যে ই বিতরন করেছি। বাকি চেয়ারম্যান সাহেব জানে।
ওই ইউনিয়নের সচিব মোঃ নুরুল ইসলামের সংগে কথা হলে তিনি বলেন আমি মেম্বার দের নিকট থেকে তালিকা নিয়ে চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিন কে দিয়েছি। তারপর তিনি কিভাবে তালিকা করেছেন তা আমার জানা নাই। তবে উনার একজন ব্যাক্তিগত সহকারী আছেন তিনি তালিকা করেছেন। তিনি আরো বলেন আমি বুড়ো মানুষ আমাকে বিপদে ফেলেন না আপনারা চেয়ারম্যানের সংগে কথা বলেন।
এ বিষয়ে দিঘলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে (০১৭১১৯৩৯৮৫৩) কথা হলে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন এতো কথা বইল্লেন না পারলে এখানে আসেন বলে ফোন টি কেটে দেন।
এ ঘটনায় লোহাগড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আজগর আলীর সংগে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন চেয়ারম্যান আমাকে বলেছে। আপনারা যে ভাবে বলেছেন উনি তা বলেন নাই। তবে আপনারা সরোজমিনে যা পেয়েছেন সেভাবে লিখবেন। তারপর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।