সাজাপ্রাপ্ত চিকিৎসক হলেন সমীর রায় (২৬)। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়ার মৃত সুনীল রায়ের ছেলে। তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজের ২৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। খুলনার একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত। সমীর নড়াইলের কালিয়া থানার মো. রাহাত আমিনের (২০) হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। এ ঘটনায় রাহাতকেও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভর্তি পরীক্ষায় মূল পরীক্ষার্থী রাহাত আমিনের পরিবর্তে পুরো মাথা, মুখে ব্যান্ডেজ করে পরীক্ষার দিতে আসেন সমীর। পরীক্ষাকক্ষে দায়িত্বরত ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের অধ্যাপক জাকির হোসেন ও শেখ রাসেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শফিউল আলমকে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কথা জানান তিনি। সমীর পরীক্ষাকক্ষে এসে বলেছিলেন, সকালবেলায় তিনি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তিনি পরীক্ষা দিতে এসেছেন। তাঁর দুর্ঘটনার কথা শুনে দায়িত্বরত দুই শিক্ষক তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করার কথা বলেন। অ্যাম্বুলেন্স ডাকতে চান। তবে সমীর পরীক্ষা শেষে চিকিৎসা নেবেন বলে জানান।
বিকেলে ‘এ’ ইউনিটের চতুর্থ শিফটের পরীক্ষা শুরু হয়। মাথায় ব্যান্ডেজ করা অবস্থায় সমীর পরীক্ষা দেন। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর তিনি চলে যাওয়ার জন্য বেশ তাড়াহুড়ো করেন। তবে পরীক্ষাকক্ষের দায়িত্বরত দুই শিক্ষক তাঁকে একা যেতে দিতে রাজি হননি। তাঁরা সমীরের মাথার সিটি স্ক্যানসহ চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। এ জন্য তাঁরা সমীরের অভিভাবককে ডাকতে বলেন। এরপরও তিনি একা যেতে চান। কিন্তু শিক্ষকেরা তাঁকে যেতে দেননি। একপর্যায়ে সমীর মূল পরীক্ষার্থীর রাহাত আমিনকে তার অভিভাবক হিসেবে ডাকেন। তখনই বিষয়টি ধরা পড়ে। এর পর প্রক্টর দপ্তরে এনে তাঁদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়।