বিশেষ প্রতিনিধিঃ খন্দকার ছদরুজ্জামান
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নে ঈদুল আযহার ( ভিজিএফ) এর চাউল বিতরনে তালিকায় অনিয়মের কথা নিজ মুখে শিকার করলেন চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিন, নিজেদের নাম দিয়ে তালিকা তৈরি করে অন্যদের চাউল দিয়েছেন বললেন ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার জামাল।
গত ১০ জুলাই ঈদুল আযহা উপলক্ষে পি আই ও অফিস কর্তৃক দিঘলিয়া ইউনিয়নে ১০ কেজি করে ৫৪১ জনের নামে ৫ টন ৪৪০ কেজি চাউল বরাদ্দ পাই দিঘলিয়া ইউনিয়নে সেই মোতাবেক অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিন ৫৪১ জনের নামের তালিকা করে তালিকা অনুযায়ী চাউল বিতরণ না করে অন্য লোকজনদের মাঝে চাউল করেছেন বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
তবে তালিকার বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিন বলে অফিস থেকে জরুরী ভাবে তালিকা দিতে জানিয়েছেন তাই তাড়া হুড়া করে তালিকা তৈরি করতেছিলেন।
চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিন আরও বলেন তালিকা বিষয় ছাড়াও কিছু মানুষের মধ্যে নগত অর্থ দিয়েছেন তিনি।
এবং শিকার করেন যে তালিকা অনুযায়ী চাউল বিতরণ করা হয় নাই অফিসের নির্দেশনা মানতে গিয়ে,
সরোজমিনে যেয়ে তালিকা অনুযায়ী খোজ খবর নিয়ে দেখা গেছে যাদের নাম আছে তারা চাউল পাওয়ার উপযোগী কিন্তু নাম থাকা সত্বেও তারা চাউল পাই নাই, তাহলে এই চাউল বিতরণ করা কোন নিয়মে হয়েছে বলেন তালিকা থেকে বাদ পড়া মানুষেরা।
তাছাড়াও সরেজমিন ঘুরে আরও দেখা গেছে ওয়ার্ডে কোন হিন্দু ধর্মের লোক বসবাস ছিলো না সেই সকল ওয়ার্ডে হিন্দুদের নামে চাউল উত্তোলন হয়েছে, কিন্তু তাদের বাড়িতে গিয়ে কথা বলে জানা গেছে তারা চাউল পাই নাই বলে জানান সাংবাদিকদের।
দিঘলিয়া গ্ৰামের ঋষিপাড়ার হতদরিদ্র অসহায় মানুষের নাম তালিকায় পাওয়া যায় কিন্তু তারা চাউল পাই নাই বলে জানান।
এদিকে অনেকে মন্তব্য করে বলেন চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিন কোটি কোটি টাকা খরচ করে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক কে হারিয়ে টাকার জোরে চেয়ারম্যান হয়েছে ৫ বছরে ওই টাকা উঠাতে হবে মন্তব্য দিঘলিয়া ইউনিয়ন বাসাীর।
এবিষয়ে লোহাগড়া উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ ইস্রাফিল হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি জানান আমরা ৩/ জুলাই বরাদ্দের চিঠি পেয়ে চেয়ারম্যান কে জানিয়েছি ৪ জুলাই চেয়ারম্যান কে কাগজ দিয়েছেন। এবং হিন্দুদের নাম দেওয়ার বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলেন নাম দেওয়া যাবেনা এমন কোনো আইন নেই,আর অফিস থেকে জরুরী ভাবে তালিকা তৈরি করে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিলো, কিন্তু চাউল বিতরণে তালিকার বাইরে বিতরনের কোনো নিয়ম নেই।
এরপরে লোহাগড়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে খবর নিয়ে জানা যায়, অফিসের হিসেবে ৪/জুলাই চেয়ারম্যান কাগজ পত্র নিয়েছেন।
এরপরে ৭/জুলাই সকাল ১১টার দিকে লোহাগড়া উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার বিনয় কুমার পাল ট্যাগ অফিসার এর দায়িত্ব পালন করে ওই চাউল বিতরণ করেন।
চাউল বিতরণ কি ভাবে করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন লাইনে দাঁড়িয়ে মহিলা – পুরুষ স্লিপ দিয়ে চাউল নিয়েছেন,তিনি আরও জানান টিপ দিয়ে কেউ চাউল নেন নাই, সচিব সাহেব খাতায় কলমের টিক চিহ্ন দিয়েছেন।
এঘটনায় এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হলে ৩১ জুলাই দিঘলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করানোর জন্য সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।