মনির খান বিশেষ প্রতিনিধি।
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় গত ১আগস্ট ২০২২ তারিখ সোমবার লোহাগড়া কলেজ পাড়া থেকে দুই নাবালক সন্তান রেখে প্রবাসীর স্ত্রী মোবাইল সার্ভিসিং মেকারের হাত ধরে প্রবাসীর স্ত্রী উধাও, এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে।
ওই প্রবাসীর স্ত্রী দুই সন্তানের জননী, সন্তান ফাহিম (১১) ও মহেমিন (৫) দিন-রাত তার মায়ের জন্য কেঁদে কেঁদে অস্থির।
মহল্লা বাসীরা বলেন, মনিরুল ইসলাম পিং-মৃত: আঃ রউফ মোল্যা গ্রাম চাচই দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে থাকেন। স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্ত্রী জান্নাতুল বেগম এর সাথে কোটাকোল গ্রামের এনামুল খানের ছেলে ইমরান খাঁন (৩৮) মিথ্যা ভাইবোন সম্পর্ক গড়ে তুলে পরকিয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।
মোবাইল ফোনে চলতে থাকে তাদের পরকীয়া প্রেম ভালোবাসা। একপর্যায় তারা অজানা উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায় সুখের নীড় গড়ার স্বপ্নের ঠিকানায়। ইমরান খান এলাকার একজন ভালো দক্ষ মোবাইল সার্ভিসিং মেকার হিসেবে পরিচিত ।
এবং সে আগে একটি বিবাহ করেছিল তার প্রথম স্ত্রীর সাথে সম্পর্কের অমিল হওয়ায় দুজনের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। সেই ঘরে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। দ্বিতীয় স্ত্রী পাপিয়া বেগমের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং বিবাহ হয় সেখানে ও দুই মাসের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
প্রবাসী মনিরুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, আমি প্রবাসে থাকার সুযোগে ইমরান খাঁন ও আমার শাশুড়ি রওশনারা বেগম ও আমার স্ত্রীর বড় বোন অর্থী বেগম আমার স্ত্রীকে সু কৌশলে ফুঁসলিয়ে নিয়ে গিয়েছে। বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় জান্নাতুল বেগম ৩২ লাখ টাকা ও ২১ ভরি স্বর্ণের গহনা নিয়ে যায়। দুটি সন্তান মায়ের জন্য শুধুই কান্নাকাটি করছে।
এ ব্যাপারে জান্নাতুল বেগমের মা বলেন, বিয়ের পর জামাই প্রবাসী মনিরুল ইসলাম মেয়েকে নিয়ে দীর্ঘদিন সৌদি আরবে নিয়ে থাকত। লোহাগড়া কলেজ পাড়ায় তিন তলা তার নিজ বাড়িতে রেখে গত এক মাস পূর্বে জামাই সৌদি আরবে চলে যায়। এখন মেয়ে জান্নাতুল কোথায় আছে তা জানি না।
এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ আবু হেনা মিলনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।