মনির খান বিশেষ প্রতিনিধি।
নড়াইলের বাশগ্ৰাম ইউনিয়নের কর্মচন্দ্র পুর গ্ৰামের জুয়েল ভূঁইয়া হত্যার ঘটনায় ওই এলাকায়
গত ১৩ আগষ্ট ২০২২ তারিখে শনিবার সন্ধায় কর্মচন্দ্রপুর গ্রামের তরিকুল
ইসলাম,মতিয়ার,হেমায়েত,জালাল,আতিয়ার শিকদার, সেলিম,সাগর,মুস্তাক শেখ,সুজন শেখ,জিয়ার শেখ,সোহেল শেখ,মিরাজ শেখ,মনির খান,হাবীবুর খান,শাহিনুর খান,নজরুল খান,হুমায়ন খান,আবু শিকদার,সহিদ শেখসহ আরো অনেকে মিলে প্রাই ২৫/৩০ টি বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট ও হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
ওই গ্ৰামের হামলার শিকার তরিকুল ইসলামের স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম। এসময় হামলাকারী’রা পরিকল্পিত ভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঘর বাড়ি ভাংচুর করার সময় বাড়ির মহিলাদের শিলতাহানী করে এবং তাদের কোলে থাকা বাচ্চাকে মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলে দেয়। বাড়ির মহিলা’রা হামলার ভয়ে আন্তচিৎকার করলে কেউ এগিয়ে না আসলে মহিলা’রা ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে জীবন বাচায়। এবং গুরুতর আহত অবস্থায় ৩ জন মহিলা নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
ওই সময় হামলাকারী’রা ভাংচুর করতে করতে তরিকুলের বাড়ির ২টি ক্যাবিনেট,১টি টিভি,২টা ফ্রিজ,১টি স্টিলের শোকেজ,গ্যাশের চুলা,রাইচ কুকার,পেশার কুকার,ডাইনিং টেবিল,বেসিং,চেয়ারসহ ঘরের সকল প্রকার আসবাবপত্র ভাংচুরসহ ঘরের যাবতীয় মালামাল ও ঘরে থাকা ৫টি সর্ণের চেইন,৫জোড়া কানের দুল,৩টি আংটি,২টি হাতের বালা যার ওজন আনুমানিক ৭ ভরি,সোনার গহনা এবং ঘরে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা ও গোয়ালে থাকা ৩টি বড় গরু,৫টি রাজহাঁস,১০টা মুরগি নিয়া সহ অনেক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছে।
এদিকে,সরজমিনে গিয়ে জানা যায়,নড়াইল সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের কর্মচন্দ্রপুর গ্রামের বাড়ি ঘর ভাংচুর করেছে ওই গ্ৰামের ,মৃত-গফ্ফার খান এর ছেলে,আলী খান (৫০),আমির খান (৫৫),দুলাল খান (৫৮),জমির খান (৪৭),নবীর খান (৪৪),জমির খানের ছেলে ফারুক খান (২৭),নবীর খানের ছেলে রাজু খান (২০),ইলিয়াস মোল্যা (৬২) পিতা অজ্ঞাত,ইলিয়স মোল্যার ছেলে সবুর মোল্যা (৩০),মোতালেব শিকদারের ছেলে টুকু শিকদার সহ তার দলবল মিলে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায়।
এদিকে,কর্মচন্দ্রপুর গ্রামের জুয়েল ভূইয়া নামের এক কিশোরকে হাতুড়ী দিয়ে পিটিয়ে গ্রুরুতর আহত করে। জুয়েল ভূইয়া’র উপরে হামলার ঘটনায় হামলাকারীদের নামে মামলা হয়েছে এবং শনিবার সেই হামলার শিকার কিশোর জুয়েল ভূইয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে,পরে কিশোরের মৃত্যুর খবর পেয়ে কিশোরের পক্ষের লোক জন প্রতিপক্ষের লোক জনের বাড়ি ঘর হামলা ও ভাংচুর, লুটপাটের তান্ডব চালায়।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো:মাহমুদুর রহমান জানান,কর্মচন্দ্রপুর গ্রামে কিছুদিন আগে একটি
ছেলেকে হাতুড়ী দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে এবং আজ সেই আহত ছেলেটি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেলে ওই নিহতের পক্ষের লোক জন প্রতিপক্ষের লোকজনের বাড়ি ঘরে হামলা চালালে পুলিশ বাঁধা দিলে ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং এসময় হামলাকারী’রা ৪ থেকে ৫টা বাড়ি ভাংচুর করে। পুলিশ এ পর্যন্ত ১০ জন হামলাকারীকে আটক করেছে বলেও জানান।