মনির খান বিশেষ প্রতিনিধি।
নড়াইলের লোহাগড়া পৌর এলাকার মশাঘুনী গ্ৰামের ইকরাম সরদার (ইলেকট্রিশিয়ান) প্রযত্নে: লোহাগড়া উপজেলা এলজিইডি অফিস। আদালত সূত্রে তাহার বিরুদ্ধে অন্যের জমি জোরদখল করে বিল্ডিং নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মূল জমির মালিক লোহাগড়ার কোলা গ্ৰামের পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লুৎফর রহমান বিশ্বাসের মেয়ে খালেদা খানম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ইকরাম সরদার নড়াইল থেকে মাস্তান ভাড়া করে এনে আমার জমি দখল করে আর সিসি পিলার স্থাপন করে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ করছে।
আমি বাধা দিলে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তেড়ে আসে। তখন আমি নিরুপায় হয়ে নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতে এম,পি মামলা করি, মামলা নং ৩৭৫/২০২১ । উক্ত জমি মশাঘুনি মৌজার আর এস খতিয়ান নং ৭০,দাগ নং ১২৪ জমির পরিমাণ ৬৮ শতাংশের মধ্যে উত্তর পার্শ্ব দিয়ে ৩৭ শতাংশ। ৩৭ শতাংশ তন্মধ্যে বাকি বিল্লাহর জমির পশ্চিমের রাস্তা ও ২য় পক্ষ ইকরাম সরদার এর জমি এবং পশ্চিমে খালেদা খানম এর রাস্তা সহ কৃত চিহ্নিত ২শতাংশ নালিশি জমি।
রাস্তার জন্য বরাদ্দকৃত ৬ ফুট চওড়া বিশিষ্ট রাস্তার জমির ১ ফুট জমি বিল্ডিং এর ভিতরে ঢুকিয়ে বিল্ডিং এর নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যা আদালতের নিষেধাজ্ঞা কে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে তার নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
উক্ত আদালতের বিস্তারিত আদেশ নামা নিম্নে প্রদান করা হলো: মহামান্য আদালত ২য় পক্ষ ইকরাম সরদার কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জমি দখলের কথা তিনি স্বীকার করে বলেন, আমার বিল্ডিং তৈরির কাজে নিয়োজিত রাজ মিস্ত্রি ভূল করে রাস্তার ১ ফুট ভিতরে বিল্ডিং টি নির্মাণ করেছে, তিনি সেটা সরিয়ে নিবে বলে আদালতে প্রতিশ্রুতি দেন।
কিন্তু তিনি সেটা না সরিয়ে মাস্তান দিয়ে জোর পূর্বক নির্মাণ কাজ চালিয়ে আর সিসি পিলার স্থাপন করেছেন। আমি নড়াইল ২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মহাদয়ের কাছে এর সুস্থ সমাধান আশা করছি।