এ. জি জুবরান চৌধুরী, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা করার দাবিতে আন্দোলনরত চা শ্রমিকদের যেন খাদ্যসামগ্রীর অভাবে পিছিয়ে পড়তে না হয়, এ জন্য তাদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
বুধবার (১৭ আগস্ট) রাতে ফেসবুক লাইভে এসে নিজ এলাকা হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের ১৭টি চা বাগানের শ্রমিকদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, আপনারা জেনেছেন- বাংলাদেশের চা শ্রমিক ভাই-বোনরা হরতাল পালন করছে। কারণ, তারা বছরের পর বছর নির্যাতন সহ্য করে আসছেন এবং ১২০ টাকা মজুরিতে কাজ করে আসছেন। তাদের দাবি- এই সময়ে তারা ৩০০ টাকা করে মজুরি চান। যার প্রেক্ষিতে তারা চার-পাঁচ দিন ধরে হরতাল করে যাচ্ছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত মালিকপক্ষ থেকে তাদের ডিমান্ড মেনে নেওয়ার লক্ষণ দেখছি না। সরকার থেকে কোনো উদ্যোগ আছে বলেও আমার কাছে মনে হচ্ছে না।
আমি একটা কথা বলতে চাই, যেহেতু আমার বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে। এই চুনারুঘাটে আছে ১৭টি চা বাগান। জেলায় আছে মোট ২৪টি চা বাগান। চা বাগানের যারা মালিক থাকে, তাদের একটি শক্তিশালী সাইড হচ্ছে- যখনই চা শ্রমিকরা আন্দোলনে নামে, তখন মালিকপক্ষ খাবার বন্ধ করে দেয়। খাবার বন্ধ করে দেওয়ার কারণে চা শ্রমিকরা বেশিদিন আন্দোলন করতে পারেন না। এ কারণে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমার এলাকা চুনারুঘাটের ১৭টি চা বাগানের শ্রমিকরা যতদিন আন্দোলন করে যাবে, আমি খাদ্যসামগ্রী দিয়ে তাদের পাশে থাকব। পাশে দাঁড়াবই। চাল, ডাল, আটা- যা যা লাগে তাই নিয়ে পাশে থাকব। কারণ, আমি চাই না শুধু খাবারের অভাবে এ ধরণের যৌক্তিক আন্দোলন যেন নষ্ট না হয়।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, দেশের মানুষ বিশ্বাস করে চা শ্রমিকদের ওপর যেভাবে নির্যাতন হচ্ছে, এটা ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মতো। এখন সবকিছুর দাম আকাশচুম্বী। এই সময়ে একজন শ্রমিক পান ১২০ টাকা। এটা হতে পারে না।
উল্লেখ্য যে, ব্যারিষ্টার সুমন জনমানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন হাজারো অসঙ্গতি নিয়ে। সর্বদাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে, সত্য ও মানবতার পক্ষে, দেশ ও দেশের মানুষের পক্ষে কথা বলেন তিনি। জনস্বার্থে কাজ করতে গিয়ে ব্যারিস্টার সুমন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটরের পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। দেশের মানুষের যেকোনো দুর্যোগে এগিয়ে আসেন তিনি। সম্প্রতি সিলেট-সুমানগঞ্জের বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে তিনি মানবিক সহায়তার কারণে সকলের হৃদয়ে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। সর্বসাধারণের সহযোগিতায় ভয়াবহ এ দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের নগদ অর্থ প্রদান ছাড়াও বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছেন এই আইনজীবী। মহামারী করোনা ভাইরাসের সময়ও মানবিক, বিশাল হৃদয়ের এই ব্যক্তিত্ব ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন।