স্টাফ রিপোর্ট
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ এর ২ মিনিট ১৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে, যে ভিডিওটিতে তাকে একজন অর্ধনগ্ন নারীর সাথে ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে এবং এর কিছুক্ষণ পর ভিডিওতে ছাত্রদল সভাপতি শ্রাবণকে হস্তমৈথুন করতে দেখা যায়।
এই ঘটনা নিয়ে এখন পর্যন্ত কিছু বলেননি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ। তবে এ বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন ছাত্রদলের নেত্রী মানসুরা আলম। মানসুরা ফেসবুক স্টেটাসে বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এবং বিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা নিজেদের সংগঠনের সমালোচনায় নৈতিক ভাবে পরাজিত হয়ে, ছাত্রদলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে জনপ্রিয় ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ইমেজ ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’
যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিওকে এডিট দাবি করেছেন এই নেত্রী। তিনি বলেন, ‘ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সংগ্রামী সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ ভাইয়ের চেহারার সাথে মিলিয়ে অন্যজনের বডির সাথে সুপার এডিট করে ফেসবুকে ভাইরাল করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলেরসভাপতির ইমেজ এবং সংগঠনের ইমেজ ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।;
অনেকের ধারণা শ্রাবণের যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সেখানে অপর প্রান্তে যুক্ত ছিলেন ছাত্রদলের নেত্রী মানসুরা আলম। এই প্রসঙ্গে মানসুরা বলেন, ‘রাজনৈতিক নোংরামির একটা সীমা আছে। একটা সংগঠনে একটা মেয়ে আছে যাকে এই নোংরা মানসিকতার লোকগুলো চিনে। ব্যাস। তাকে নিয়ে নোংরামি করতে হবে। মা বোন আপনাদেরও আছে। ঘৃণা ও ধিক্কার আপনাদের চিন্তার প্রতি।
ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে ঘন্টার মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। উল্লেখ্য,তার গ্রামের বাড়ি যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার চিংড়া গ্রামে। শ্রাবণ ২০০৩ সালে কেশবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৩-০৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তিনি, থাকতেন হাজী মুহাম্মদ মুহসিন হলে,কিছুদিনের মধ্যেই ছাত্রদল কর্মী হিসেবে হল ও বিভাগের সহপাঠীদের মধ্যে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন তিনি।
এর আগে ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বরে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী ছিলেন কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ। সেই সময় আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী হওয়া নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। ওই সম্মেলনে ভোটে হেরে তিনি সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোনীত হন।