রিয়াজুল হক সাগর রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
রংপুরে সংবাদ ও মানবাধিকার কর্মী এজাজ আহমেদসহ তার বাবা ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা।আদালত তদন্ত রিপোর্ট ও বাদির গর হাজিরের কারণে মামলা খারিজ করে দিয়েছে।
মামলার কপি,তদন্ত কপি ও কোর্ট রিপোর্ট হতে জানা যায়,রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানাধীন জেএসসি রোড নুরপুরের বাসিন্দা মৃতঃ এড. আব্দুল হাকিমের ছেলে এনামুল হক মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকর সংস্থা (আশক) ফাউন্ডেশন’র রংপুর বিভাগীয় সভাপতি ও জাতীয় দৈনিক সন্ধ্যাবানী পত্রিকার রংপুর অফিস প্রধান এজাজ আহমেদ রমজানসহ তার বাবা হাসান আলী ও বড় ভাই মেরাজ মিয়ার নামে মামলা করেন।
মামলায় অভিযোগ করেন,মামলার আসামীগণ গত গত ১৭/১১/২০২০ ইং তারিখ রাতে স্থানীয় গর্ভবতী মহিলা মোছাঃ আতিকা বেগমসহ তার পরিবারের উপর মধ্যযুগীয় কায়দায় হামলা চালায় সেখান হতে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে।পরে বাদি এনামুল হক বাড়ির সামনে বের হলে আসামীগণ তার উপর হামলা চালায়,তিনি আহত হলে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়।
বাদি মেডিকেলে ১৭/১১/২০২০ ইং হতে ২৫/১১/২০২০ ইং তারিখ পর্যন্ত ১৪ নং ওয়ার্ড সার্জারী বিভাগে চিকিৎসা নেয়। এই মর্মে মামলা করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসারত কাগজ-পত্র ডকুমেন্ট হিসেবে জমা করেন।বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট মামলা গ্রহন করে পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন।পরে তদন্ত করে জানা যায় মেডিকেলের কাগজ-পত্র সম্পুর্ণ মিথ্যা,ভুয়া ও পরিকল্পিত।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার এসআই তপন চন্দ্র রায় ব্যাপক তদন্ত সাপেক্ষে রিপোর্ট প্রদান করেন,সেখানে তিনি বাদিকে মিথ্যা ও মেডিকেল রিপোর্টকে মিথ্যা বলে আখ্যায়িত করেন (প্রমানসহ)।বাদি সে সময় রংপুর মেডিকেলে ভর্তিই হয়নি।
মামলার নথিসহ তদন্ত প্রতিবেদন পাঠ,পর্যালোচনা,বাদির গর হাজির ও তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নেয়া সাপেক্ষে গত ২৮/৮/২০২২ ইং তারিখে আমলী আদালত কোতয়ালী মেট্রোপলিটন’র চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট এফ এম আহসানু হক ফৌজদারী কার্যবিধির ২০৩ ধারা মতে নালিশী মামলাটি খারিজ করে দেন।
সংবাদ ও মানবাধিকার কর্মি এজাজ আহমেদ এ ব্যাপারে বলেন,সত্য কখনো চাপা থাকে,মহামান্য আদালত আমাদের ন্যায় বিচার করেছেন।তাই আমার পরিবার চির কৃতজ্ঞ থাকবো।কিন্তু আমাদের যা অন্যায় হয়েছে তার কি হবে? আমাদের মান সম্মান যে নষ্ট হলো তার কি হবে? আমি চাই পরবর্তীতে কোন মানুষ যেন আর মিথ্যা হয়রানীর স্বীকার না হয়।সরকারসহ প্রশাসনের এ ব্যাপারে কঠোর হওয়া প্রয়োজন।