গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ভারতের জলসীমায় প্রবেশ করার অপরাধে মহেশখালীর ২৭ জনসহ ৮৮ জেলেকে আটক করেছে ভারতীয় কোষ্টগার্ড বাহিনী। গভীর রাত্রে সাগরে ঘন কুয়াশার কারনে বাংলাদেশের ৩টি মাছ ধরার ফিশিং বোট ৮৮ জন মৎস্য আহরণকারী জেলে সহ গত ১৫ ফেব্রুয়ারী ভারত বাংলাদেশ জলসীমার ৩৫ নটিক্যাল মাইলের ভেতরে প্রবেশ করে। সে থেকেই ভারতের কলিকাতা পশ্চিম বঙ্গের ফেজারগঞ্জ থানা মহকুমা অন্তর্গত বারাইপুর সেন্ট্রাল কারাগারে আটক থাকার পর এডভোকেট কালিসংকর প্রধানের মাধ্যমে কাকদ্বীপ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পায়।
অবশেষে দুই দেশের দ্বীপক্ষিক সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠকের পর ২৯/৮/২০২২ইংরেজি বাংলাদেশের বিজিবির হাতে তাদের হস্তান্তর করেন ভারত সরকার। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহেশখালী কুতুবদিয়ার সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক তিনি মুঠো ফোনে সাংবাদিকদের কে জানান, ভারতে আটক হওয়া ৩টি ট্রলার কুতুবদিয়ার আবছারের মালিকানা দীন ট্রলারে ২৯ জন, বাশখালীর ট্রলারে ৩২ জন মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়ন এর ঘটিভাংগা গ্রামের রশিদ মিয়া কোম্পানির ট্রলারে ২৭ জন মৎস আহরণ কারী জেলে সহ মোট ৮৮ কে মহেশখালী কুতুবদিয়ার সংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক এমপির আন্তরিক সহযোগিতা প্রচেষ্টায় এবং মহেশখালী কুতুবজোম ঘটিভাংগা গ্রামের রশিদ মিয়া কোম্পানির ছেলে সাজ্জাদুল ইসলামের অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে সুস্থ অবস্থায় সবাইকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পেরে আল্লাহর কাছে শোকরিয়া আদায় ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানান জেলে পরিবারের পক্ষে সাজ্জাদুল ইসলাম।
জেলে ও ট্রলার সহ আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রলার মালিককে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। সাগরে মাছ আহরণ করতে আমাদের জেলেদের আরো সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এদিকে ভারতে আটক হওয়া ৮৮ জন জেলের মধ্যে একটি ফিশিং ট্রলার মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের
ঘটিভাঙ্গা গ্রামের রশিদ মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ সাজ্জাদুল ইসলামের মালিকানাধীন এফবি শাহ আমানত। যাহার রেজিঃ নং-৬৩২৩। ভারতের কারাগার থেকে মুক্ত হওয়া মহেশখালীর ২৭ জেলেরা হলেন, পেঠান আলী-মাঝি (৩৭) পিতা- আব্দু জলিল, খোরশেদ আলম (৪৪) পিতা-পেঠান আলী, গিয়াস উদ্দিন (৪০), পিতা- কবির আহমদ, হেলাল উদ্দিন (৪২) পিতা- গোলাম সুলতান, সফিউল আলম (৩৪) পিতা-লাল মোহাম্মদ, ফরিদ আলম (৪৫) পিতা-মৃত আছু মিয়া, রবিউল আলম (৩৫) পিতা-আম্মাত আলী, মোঃ শওকত উদ্দিন (৩০), পিতা-লেয়াকত আলী, গোলাম সোলতান প্রকাশ মোস্তাক (৪৩) পিতা-মৃত কবির আহমদ, আব্দু শুক্কুর প্রকাশ (দানু) (৩৮) পিতা-ওমর সোলতান, মোঃ ইব্রাহিম (২৮) পিতা- আব্দুল জলিল, মোঃ রুবেল(২৬) পিতা- মৃত হোছন আলী, আব্দুল মজিদ (২৫) পিতা- গোলাম ছোবহান, নুরুল কবির (৩৫) পিতা- আবুল কালাম, আব্দুল মজিদ (২৭), পিতা-সেকান্দর, কবির হোসেন (৩৩) পিতা- ছৈয়দ নুর, আব্দুল গফুর (৩২) পিতা- মোঃ শরীফ, আব্দু রহমান (৫০) পিতা- মিয়া হোসেন, আব্দুল করিম (২৭) পিতা- জকরিয়া আহমদ, রবি আলম (৩১) পিতা-দিল মোহাম্মদ, হামিদ হোসেন (৩৫) পিতা- ছালেহ আহমদ, শাহেদ মিয়া (১৮) পিতা- আব্দু শুক্কুর, জিহাদ প্রকাশ জাহেদ (২১), পিতা- আবুল হোসেন, আব্দু ছফুর (২৩) পিতা-আবুল বশর, মোহাম্মদ জোবাইর (২৮) পিতা-মৃত আব্দু ছফুর, ২৬। শফি আলম (৩২) পিতা- নুর মোহাম্মদ, মোহাম্মদ কালু (৩৫) পিতা-ইসমাইল, সকলের বাড়ী কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গা গ্রামে।
এদিকে ট্রলার সহ সকল জেলেদের দেশে ফেরত আনতে পেরে মহেশখালী কুতুবদিয়া কক্সবাজার- সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সরকার দলীয় ইউনিয়ন নেতাকর্মীদের কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান মহেশখালী কুতুবদিয়ার জেলে সম্প্রাদয়গণ এবং তাদের পক্ষে জনাব রশিদ মিয়া কোম্পানির ছেলে সাজ্জাদুল ইসলাম