মেহেদী হাসান,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
যশোরের শার্শা উপজেলার জামতলার পঁচাপুকুর নামক এলাকার ওরিয়েন্টাল ওয়েল কোম্পানি লিঃ এর সামনে থেকে ৯ কেজি ৭৫৯ গ্রাম ওজনের ৩০টি স্বর্নের বারসহ আবুল সরকারের ছেলে রবিন ও কবির হোসেনের ছেলে আবুল কাশেম নামে দুইজন স্বর্ণ পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে যশোর ডিবি ও শার্শা থানা পুলিশের সদস্যরা। আটক উভয়ের বাড়ি কুমিল্লা জেলার হোমনার পাচগাছিয়া ও দাউদকান্দি উপজেলার সাজাদিয়া এলাকায়।
শুক্রবার (০২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে স্বর্ণের বারসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় পাচারকারীদের ককটেল হামলায় যশোর ডিবি পুলিশের দুইজন ও শার্শা থানা পুলিশের একজন সদস্য আহত হয়। স্বর্ণ উদ্ধারের সময় পুলিশ ও পাচারকারীদের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে। ওই সময় কয়েকটি মোটরসাইকেল যোগে একদল পাচারকারী পুলিশের উপর ৪/৫টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা রাবার বুলেট ছুড়লে হামলাকারীরা মোটর সাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। এ সময় ২জন পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়। হামলাকারীদের ফেলে যাওয়া ৩টি মোটরসাইকেলও জব্দ করে পুলিশ। ঘটনাস্থলের ২০০ গজ দুরে মোটর সাইকেলের চাপা অবস্থায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। তার মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে ।
শার্শার নাভারন সার্কেলের এএসপি জুয়েল ইমরান জানান, গোপন সুত্রে খবর পেয়ে নাভারন সাতক্ষীরা সড়কের জামতলা এলাকার পঁচাপুকুর নামক স্থানে অভিযান চালায় যশোর ডিবি ও শার্শা থানার টহলদলের পুলিশ সদস্যরা। কৌশলে ছদ্মবেশে দীর্ঘদিন ধরে স্বর্ণপাচার করে আসছিলেন তারা। সীমান্ত পথে ভারতে স্বর্ন পাচারকালে তাদের আটক করা হয়। এ সময় রবিনের শরীরে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ৯ কেজি ৭৫৮ গ্রাম ওজনের ৩০ টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য সাড়ে ৭ কোটি টাকা। স্বর্ণসহ পাচারকারীদের শার্শা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে এবং জব্দকৃত মোটর সাইকেলের রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখে নিহত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করা হবে।