মনির খান বিশেষ প্রতিনিধি।
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চর দৌলতপুর সরস্বতী একাডেমী ভবনের লোহার রড ওই একাডেমীর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এস কে আদনান এর নির্দেশনায় প্রধান শিক্ষক এ,কে, এম, আরিফ -উ- দ্দৌলা ও বাবু শেখ বিক্রি করেছে ও নৈশপ্রহরী হুসাইন কবীর সাদ্দাম মোল্লা কে অভিনব কায়দায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে ববে অভিযোগ পাওয়া যায়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সরস্বতী একাডেমীর প্রধান শিক্ষক এ,কে,এম, আরিফ -উ- দ্দৌলা কর্তৃক নৈশপ্রহরী হুসাইন কবীর সাদ্দাম মোল্লা কে রড চুরির ব্যাপারে একটি লিখিত নোটিশ প্রদান করা হয়েছে, যা ৩ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এবং একটি ফেসবুকে নৈশপ্রহরী হুসাইন কবীর সাদ্দাম মোল্লার ছবি সহ নোটিশ টি সোসাল মিডিয়ায় প্রচার করা হয়েছে। নৈশপ্রহরী হুসাইন কবীর সাদ্দাম মোল্লার কাছে রড চুরির বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন ওই দিন আমার একটি কাজের জন্য নড়াইল কোর্টে ছিলাম। আমি রড চুরির ব্যাপারে কিছু ই জানিনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজনের মাধ্যমে জানা যায় সরস্বতী একাডেমীর সভাপতি এস কে আদনান এর নির্দেশে প্রধান শিক্ষক এ,কে, এম, আরিফ -উ- দ্দৌলা ও কমিটির সদস্য বাবু শেখ মিলে আলা মুন্সীর মৌড়ে দুখু মন্ডলের ভাংড়ির দোকানে রড ৭৫২ কেজি ও টিন ১০১ কেজি মোট ৩৩০০০ টাকা মূল্যে বিক্রি করেছে।
ভাংড়ি দোকান মালিক দুখু মন্ডলের ছেলে ইমামুল মন্ডল বলেন, আমি গত ৩০ আগষ্ট ২০২২ তারিখ সরস্বতী একাডেমীর ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বাবু শেখ এর কাছ থেকে রড ও টিন কিনেছি। বাবু শেখ আমার নিকট থেকে প্রথমে ১৫০০০ টাকা নিয়েছে। বাকি টাকা রড ও টিন আনার সময় নিয়েছে।
বিষয়টির ব্যাপারে জানার জন্য সরস্বতী একাডেমীর প্রধান শিক্ষকের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আপনি সভাপতির সাথে কথা বলেন বলে এড়িয়ে যায়। এবং ফোন টি কেটে দেয়। নৈশপ্রহরী হুসাইন কবীর সাদ্দাম মোল্লা আরো বলেন আমি চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী, মূলত: আমাকে ফাঁসানোর জন্য একটি কুচক্রী মহল উঠে পড়ে লেগেছে।
নৈশপ্রহরী হুসাইন কবীর সাদ্দাম মোল্লা ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি জানান। এবং একাডেমী থেকে অসাধুদের কে অপসারণের দাবি জানান।