মনির খান বিশেষ প্রতিনিধি।
জানা যায়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২০২১-২২ অর্থ বছরে ‘ভার্নারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট’ (ভিজিডি) কার্ডের তালিকায় লোহাগড়া ইউনিয়নের কামঠানা গ্রামের
৪ নম্বর ওয়ার্ডের মফিজ শেখের স্ত্রী আইরিন বেগম যার কার্ড নম্বর ০০০০৩৯, জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর ৫০৮৬৮১৪২৬৫ ও আজাদ শেখের স্ত্রী শিফালী বেগম যার কার্ড নম্বর ০০০০৪২, জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর ৯১৩৬৭৪২৪৮৪।
আইরিন বেগম বলেন মেম্বার রতন শেখ আমাদের নামে ভিজিডি চাউল এর কার্ড করে দিয়েছে আমরা নিয়মিত চাউল তুলে খাচ্ছি। আমাদের চাউল কেউ তুলে নেয় না। যদি কেহ বলে থাকে তা সত্য নয়।
একই গ্রামের প্রতিবেশী তবিবর রহমানের স্ত্রী মেরি বেগম ও হানেফ সরদার বলেন আইরিন ও শেফালী বেগমকে বোর্ড অফিস থেকে চাউল আনতে দেখেছি।
মেম্বার রতন শেখের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি ৪ বার নির্বাচিত মেম্বার। আমি কেন অন্যের কার্ডের চাউল তুলে নিবো। এমন হলে জনগন আমাকে ভোট দিয়ে ৪ বার মেম্বার বানাতো না। একটি কুচক্রী মহল আমার মান সম্মান হানি করার জন্য এমন বানোয়াট মিথ্যা অভিয়োগ তুলেছে।
যা শুনেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।আপনারা কার্ডধারীর সংগে কথা বলুন। তাহলে সত্য পেয়ে যাবেন।
উল্লেখ্য বিষয় হলো, লোহাগড়া সদর ইউনিয়নে ২০২১-২২ অর্থ বছরে ১০৭টি ভিজিডি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। এই অর্থ বছরের চাউল গত বছরের ৮ ফ্রেরুয়ারি বিতরণ শুরু হয়। চলতি বছরের আগস্ট মাস পর্র্যন্ত সর্বমোট ২০ মাস চাউল বিতরণ করা হয়েছে। স্থানীয় ভাষায় বলা হয় ‘মাথা কার্ড’। প্রতি মাথা কার্ডে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়।
লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমিন বেগম বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন।তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয় নাই তবে তদন্ত করছি সত্যতা পেলে কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লোহাগড়া ইউএনও মো: আজগর আলী বলেন, আমি বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে সত্যতা পেলে ব্যবস্হা নিবো।