1. chitrabani24@gmail.com : admin :
  2. qwsd@postcards-hawaii.com : leannetolmer375 :
  3. herokkazi6@gmail.com : mohidul :
  4. saddamuddinraj@gmail.com : Saddam Uddin Raj : Saddam Uddin Raj
  5. yusuf@ataberkestate.com : TimothyGuete :
পার্বত্য নেতাদের স্ব-বিরোধী বক্তব্য ও স্বার্থপরতা » Chitrabani 24 | online news paper
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৪০ অপরাহ্ন

পার্বত্য নেতাদের স্ব-বিরোধী বক্তব্য ও স্বার্থপরতা

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭
  • ৩৪০ জন পাঠক দেখেছে

ছোটবেলা থেকেই জেনে এসেছি আর বই পুস্তকে পড়ে এসেছি যে, বাংলাদেশে চাকমা, মারমা, সাঁওতাল, গারো, খাসিয়া, ত্রিপুরা ইত্যাদি নামে উপজাতি বসবাস করে। কিন্তু হঠাৎ করে এখন শুনছি এরা নাকি উপজাতি নয়, এরা আদিবাসী। বিষয়টা নিয়ে একটু ভাবনা চিন্তা করা শুরু করলাম। এই বিষয় নিয়ে খোঁজ-খবরের ডালপালা বিস্তৃত করলাম।

সকল তথ্য-উপাত্ত আর ইতিহাস থেকে যা জানলাম তাতে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ পেলাম যে, ওরা আসলেই উপজাতি। আদিবাসী নয়। তবে আমার আজকের লেখার বিষয় উপজাতি-আদিবাসী বিতর্ক নয়। এই বিষয়ে খোঁজ-খবরের ডালপালা বিস্তার করতে গিয়ে দেখেছি যে, উপজাতি নেতারা সবসময় স্ব-বিরোধী বক্তব্য প্রদান করে থাকে। এমনই কিছু বক্তব্যই আজ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো।

২০১১ সালে সিলেটে এক অনুষ্ঠানে সরকারদলীয় নারী সাংসদ সৈয়দা জেবুন্নেছা হক বলেছিলেন, “আমি তো জানি উপজাতি। সারা জীবন তো এভাবেই বলে আসছি। এখন উপজাতিরা অনুষ্ঠান আয়োজন করে আদিবাসী স্বীকৃতির নামে সরকারের সমালোচনা করবে, আর আমি তো বসে থাকতে পারব না” (দৈনিক প্রথম আলো, ১০-০৮-২০১১)

স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষ নেয়া চাকমা রাজা ত্রিদিব রায়ের ছেলে বর্তমান চাকমা রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বলেন- “আমরা চাপিয়ে দেয়া কোনো পরিচয় মানি না। আমরা উপজাতি নই, আদিবাসী। এ দাবি বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাবো” (somewhereinblog, ৩০ শে মে, ২০১১)। দেবাশীষ রায়ের এই কথার স্ব-বিরোধী বক্তব্য পাওয়া যায়। কারণ, বিগত তত্বাবধায়ক সরকারের বিশেষ উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনকালে চাকমা সার্কেল চীফ রাজা ব্যরিস্টার দেবাশিষ রায় ‘রাষ্ট্রীয়ভাবে’ অফিসিয়ালি লিখেছিলেন যে, “বাংলাদেশে কোন আদিবাসী নাই। কিছু জনগোষ্ঠি আছে”।

এ প্রসংগে, জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রতিনিধি ইকবাল আহমেদ ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সাথে সরকার যে চুক্তি করেছে সে প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেছিলেন, চুক্তির সবখানে তারা নিজেদের উপজাতি হিসেবে স্বীকার করে নিয়ে সই করেছে। সে সময় এ নিয়ে কোনো কথা তোলেননি। তাদের উপর এ পরিচয় চাপিয়ে দেয়া হয়নি। এমনকি তাদের কেউ এ নিয়ে আপত্তিও করেননি। কারণ ওখানে কোনো আদিবাসী নেই। (somewhereinblog, ৩০ শে মে, ২০১১)

জাতিসংঘের আদিবাসী দশক ঘোষণার পর ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশে যখন প্রথম আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উদযাপন করা হয়েছিল, তখন সন্তু লারমা বলেছিলেন “এই দেশে কোন আদিবাসী নাই। এখানে আমরা সবাই উপজাতি। জুম্ম জনগনের আন্দোলন ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য আদিবাসী দিবস পালন করা হচ্ছে”। এ প্রসংগে সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার বলেছিলেন, “১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তি সম্পাদনের সময়ে আমি সন্তু লারমাকে বলেছিলাম এসময়ে উপজাতির পরিবর্তে আদিবাসী বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে ফেলি, তখনও সন্তু লারমা রাজি হয়নি। তখনও সন্তু লারমা বলেছিলেন আমরা আদিবাসী নই, আমরা উপজাতি। ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তিতে প্রচলিত ‘উপজাতি’ শব্দটি বহাল রাখা হয়”।

পার্বত্য নেতাদের এরকম স্ব-বিরোধী বক্তব্য জনমনে যেমন হাস্যরসের সৃষ্টি করছে তেমনি তারা তাদের নিজস্ব অবস্থান এবং পদমর্যাদাকে উপহাসের পাত্রে পরিণত করছে। আসল কথা হচ্ছে একজন মানুষ যখন মিথ্যার পিছনে ছোটে এবং যখন সে নিজেই জানে না যে সে কি চায় শুধুমাত্র তখনই সম্ভব এ ধরনের গাঁজাখুরি আর স্ব-বিরোধী বক্তব্য প্রদান করা। নেতাদের এরুপ স্ব-বিরোধী বক্তব্য আর কর্মকান্ডের কারণে তাদেরই স্বজাতি উপজাতিরা তাদের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। তাদের এ পাগলের প্রলাপ এখন আর সরকার, জনগণ এবং মিডিয়ার কাছে গুরুত্ব পায় না।

শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর

© All rights reserved © 2022 | Chitrabani 24
Theme Customized By BreakingNews